রাতের অপরুপ সৌন্দর্যে কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্ট।
আসসালামুআলাইকুম/আদাব।
আমি সামশুন নাহার হিরা@samhunnahar। বাংলা ভাষায় ব্লগিং প্রিয় বন্ধুরা নিশ্চয়ই আপনারা সকলেই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজ আবার ও চলে এসেছি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।প্রতিদিন ভিন্ন কিছু শেয়ার করতে ভালো লাগে। তাই আজও নতুন একটি টপিক্স নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। আপনারা তো সবাই জানেন বেশির ভাগ সংখ্যক আমি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণাঞ্চল কক্সবাজারে বসবাস করি।
সত্যি কথা কি বলবো? আমি যে কক্সবাজারের একজন বাসিন্দা সেজন্য নিজেকে নিয়ে অনেক বেশি গর্ববোধ করি। যেখানে মানুষ পুরো লাইফ জুড়ে ২/১ বার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখতে আসে অনেক প্ল্যান করে। সেখানে আমি প্রতিদিন সেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বাতাস নিচ্ছি। আমার একদম একঘেয়েমি লাগেনা সমুদ্র সৈকতে যেতে যখনই সময় পাই তখনই আমি বাচ্চাদেরকে নিয়ে ছুটে চলে যাই। বেশিক্ষণ সময় লাগে না যদি হেটে যায় তাহলে ১৫-২০ মিনিট। যদি রিক্সা বা টমটম নিয়ে যায় তাহলে সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০ মিনিট সময় লাগে।
বেশিদিন গ্যাপ হয় না আমার সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার। প্রায় সময় আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন ইভেন্টস নিয়ে শেয়ার করি অনেক উৎসাহ পাই আপনাদের কাছ থেকে অনেক ভালো লাগে। আজো আমি শেয়ার করব আপনাদের সাথে কিছুদিন আগে বিকেল বেলায় আমি বাচ্চাদের নিয়ে লাবণী পয়েন্ট দিয়ে সমুদ্র সৈকতে যাওয়া হয়। বিশেষ করে বের হলে আমাদের উর্মি রেস্টুরেন্টে বেশি খাওয়া হয় ও রেস্টুরেন্টের খাবার আমার অনেক ভালো লাগে। রেস্টুরেন্টে বসে খাব সেই সাথে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন ও কোমল বাতাস গুলো গায়ে লাগলে অনেক ভালো লাগে। আর রাতের দৃশ্য অপরূপ হয় কক্সবাজারের। সোজা উর্মি বীচ রেষ্টুরেন্টে এর গলি দিয়ে যেয়ে দুই মেয়েকে নিয়ে নাস্তা খেলাম। বিশেষ করে গিয়েছিলাম কালচারাল সেন্টারে সেখান থেকে বাচ্চাদের নিয়ে হেঁটে হেঁটে উর্মি বীচে যায়।
উর্মি বীচে নাস্তা খাওয়ার পরে হেঁটে হেঁটে লাবণী পয়েন্টের দিকে আসি। লাবণী পয়েন্টে বেশ কিছুক্ষণ বাচ্চাদেরকে নিয়ে সময় কাটায়। তখন রাত প্রায় ৯:০০ টা বেজে গেছিল। পরিবেশটা কিছুটা শান্ত ছিল কারণ এখন লোকজনের সমাগম কম হয়ে গেছে। কিছুদিন পরে আবার কালবৈশাখী শুরু হবে তখন একদম কমে যাবে। একদম কমে যাবে বলতেও কিন্তু বাইরের লোকজন কম থাকলেও কিন্তু এই ডিস্ট্রিকের মানুষের আনাগোনা কিন্তু ঠিকই থাকে। রাতে ঘোরাঘুরি করার পর যখন বাসার দিকে চলে যাবো ঠিক সেই মুহূর্তে লাবণী পয়েন্টের কইলা রেস্টুরেন্টের দিকে তাকাতে দেখতে পাই অনেক জমকালো পরিবেশ গান বাজনা হচ্ছে ভিতরে। বাইর থেকে দেখে একটু লোভ লেগে গেল কিন্তু চলে যাবো যেহেতু ভিতরে আর যাব না।
কিছু ফটোগ্রাফি নিছি ভালো লাগছিল দৃশ্যটা লাইটে ঝলমল করছিল। একটা মোটর চালিত রিক্সা নিয়ে মা মেয়ে তিনজনে চলে আসতেছি। ওদের আব্বু সেদিন অফিসে ছিল বের হতে লেট হয়েছিল তাই আমরা একা সময় কাটাইছিলাম। রিক্সা নিয়ে যাওয়ার পথে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি লাবণী পয়েন্ট রোড থেকে। কেন জানি আমার সব জায়গায় দিনের চেয়ে রাতে অনেক ভালো লাগে।
বিশেষ করে যখন বীচে যায় তখন রাতের বেলায় ভীষণ ভালো লাগে রাতের ঝলমলে লাইট চারদিকে বিভিন্ন কালারের আলোতে একদম মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ টি। প্রতিবার যখনই যাই তখনই আমার নতুন লাগে এই জায়গাটি। এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করতেও অনেক ভালো লাগে কারণ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সবার প্রিয় একটি জায়গা। সবার স্বপ্নের জায়গা ভালোবাসার জায়গা তাই।

আমার লেখা এখানে সমাপ্তি করছি প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আজকের ব্লগ আপনাদের ভালো লেগেছে। আমার আজকের ব্লগটি সময় দিয়ে ভিজিট করার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইসের নাম | Wiko-T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
লোকেশন | কক্সবাজার |

💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
লাবনী পয়েন্ট এর আগে অনেক বেশি জমজমাট ছিল যদিও এখন কিছুটা কম। আর আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে একটি মার্কেট দেখতে পাচ্ছি সেখানে আমার এক ফ্রেন্ডের দোকান রয়েছে। গতবার যখন গিয়েছিলাম তখন সেখান থেকে শপিং করেছিলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া এই মার্কেটে অনেক বেচাকেনা হয়। এখন কিন্তু লোকজনের আনাগোনা একটু কমে গেছে আশা করি বর্ষাকাল শেষ হলে আবার শুরু হবে।
আপনার বাসা থেকে সমুদ্র সৈকত এত কাছে জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন , সব সময় এক জায়গায় গেলে একঘেয়েমি লাগে কিন্তু আপনি যখনই সময় পান বাচ্চাদেরকে নিয়ে সমুদ্রে দেখতে চলে যান শুনে খুশি হলাম। আসলে আমি নিজেও সমুদ্র সৈকত অনেক বেশি ভালোবাসি। আগামীতে কক্সবাজার গেলে আপনার সাথে দেখা হবে আমার আর সোনিয়ার ইনশাল্লাহ।
অনেকদিন আগে থেকে আপনারা আসবেন বলতেছেন কিন্তু আপনাদের সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া। দোয়া করি আপনারা যেন অতি শিঘ্রই আসতে পারেন।
সময় থাকলে সুযোগ থাকে না সুযোগ থাকলে সময় থাকে না। এজন্য যেতে পারলাম না। কিন্তু কোরবান এর ঈদের আগে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আর গেলে অবশ্যই আপনার সাথে দেখা করব।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/44jaun
আপনি কক্সবাজারের একজন বাসিন্দা এবং সেজন্য আপনি গর্ববোধ করেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে এরকম পর্যটন কেন্দ্রগুলো সবার কাছে অনেক প্রিয়। আর সেটা যদি হয় নিজের বাসার খুবই কাছে তাহলে সত্যিই ভালো লাগে। সত্যিই আপু আপনি অনেক কাছ থেকে সমুদ্রের গর্জন শুনতে পান এবং অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পান। সুযোগ হলে কোন একদিন যাব আপু আপনাদের এলাকায় ঘুরতে।
অনেক ভালো লাগে আপু প্রতিনিয়ত সমুদ্র সৈকতে এসে শীতল হাওয়া গায়ে লাগাতে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপনি যেন কক্সবাজার এসে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।
আপনার আসলেই সৌভাগ্য যে আপনার বাসা থেকে এত কাছে বাংলাদেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। আমারও লাবনী পয়েন্ট ভাল লাগে। খুব সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন লাবনী বীচ এ। মেয়েদের নিয়ে মাঝেমাঝে এরকম ঘুরতে বের হন জেনে ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া যতবারই যায় না কেন প্রতিবারই আমার কাছে নতুন লাগে অনেক ভালো লাগে সব সময় যাওয়ার চেষ্টা করি।