ভ্রমণ :- নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। বিগত কয়েক মাস আগে গরমের সময় আমি ঘুরতে গেলাম আমার হাজবেন্ডের সাথে নদীর ধারে। যদিও সাথে আমাদের মেয়েও ছিল। আর মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি ঘুরতে যাওয়ার জন্য। কারণ গুরা গুরি করলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে। তবে আমার হাজব্যান্ড মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার কারণে একটু ব্যস্ত থাকে। আর যে সময় মাদ্রাসা বন্ধ থাকে ওই সময় আমরা ঘুরতে বাইরে যাই। ঐদিন আমরা ঘুরতে বাইর হলাম নদীর ঘাট এবং কাজিরহাট যাওয়ার জন্য। যদিও ওই সময় অতিরিক্ত গরম ছিল। আমরা সকাল ৯ টা বাজে বাড়ি থেকে বাইর হলাম ঘুরার জন্য। আর ওই সময় গরম অনেক ছিল।
বাড়ি থেকে বাইর হয় আমরা চলে গেলাম সরাসরি নদীর ধারে। আর আমরা ওই সময় জানতাম না নদীতে জোয়ারের পানি আছে কিনা। তবে ওইখানে গিয়ে দেখি নদীতে পানি নেই। দুই পাশে শুধু কাদামাটি আর কাদা মাটি। পানি থাকলে নদীতে একরকম সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আর পানি না থাকলে অন্যরকম সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। যখন আমরা নদীর ধারে গেলাম তখন দুই পাশে মানুষজন খুব কম ছিল। প্রথমে আমরা এই পাশে অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম। যদিও গরমের কারণে অতিষ্ট হয়ে গেল আমার মেয়ে। তারপর আমরা চিন্তা করলাম নদীর ওই পাড়ে যাব। তখন আমি আমার হাজব্যান্ড কে বললাম নদীর ওই পাড়ে ঘুরতে যাব।
তখন আমার হাজবেন্ড ও রাজি হয়ে গেল। নদীর এক পাশ হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ অন্য পাশ হচ্ছে ফেনী জেলা। এরপর আমার হাজবেন্ড নৌকার লোকটিকে আওয়াজ দিলেন ওই পারে যাওয়ার জন্য। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে কাদামাটির কারণে নদী পার হইতে একজন থেকে ২০ টাকা করে নিয়ে থাকে। আগে কিন্তু নদী পার হতে ১০ টাকা নিতো। এরপর আমরা দুইজন নৌকায় করে নদীর ওপারে গেলাম। তবে ওই পারে দেখি আরো বেশি কাদামাটি। সত্যি বলতে কাদা মাটি দিয়ে হেঁটে আমরা সামনের দিকে যেতে পারছি না। আর আমার হাজবেন্ডের কাছে আমার মেয়ে ছিল। অনেক কষ্ট করে আমরা নদীর পাড়ে গেলাম। আর ওই পারে নদীর উপরে বাড়িঘর গুলো দেখো খুব ভালো লাগলো।
আর নদীর ওই পারে ছোট্ট একটি দোকান আছে। দোকানটি ছোট হলেও তবে দোকানের মধ্যে অনেক জিনিসপত্র আছে। গরমের কারণে আমার হাজব্যান্ড ওই দোকান থেকে ঠান্ডা এবং কিছু খাওয়ার জিনিস নিয়ে আসলো। আর আমরা নদীর ওপারে বসে বসে খেলাম। নদীর উপরে সরকারি গাছ থাকার কারণে বসতে একটু সুবিধা হয়। বিশেষ করে গরমের সময় গাছের নিচে বসলে বাতাস অনেক ভালো লাগে। ভালো সময় কাটে। এরপর আমরা দুইজন অনেকক্ষণ বসে চলে গেলাম কাজির হাটে। ওই পোস্টটি আমি অন্য দিন করব। এরপর আমরা আবার চলে আসলাম নদীর ঘাটে। মূলত নদীর পানি এবং জোয়ার দেখার জন্য। তখন একটি লোক বলতে লাগল জোয়ার আসবে চারটা বাজে।
এরপর আমরা নৌকা করে আবার এই পারে চলে আসলাম। তবে নদীর পার হতে এবং কাদামাটির কারণে অনেক কষ্ট হয়। কারণ আমি একদিন গেলাম ওই একদিন আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। অনেকখানি জায়গা হেঁটে এসে নৌকায় উঠতে হয়। যদি অন্য দিকে ছোট হলেও কাদা মাটির কারণে মানুষের কষ্ট বেশি হয়। আর এপারে এসে পা অনেক কষ্ট করে চাপ করেছি। কারণ নদীর মাটি গুলো সহজে পা থেকে যায় না। সত্যি ওদের হাজবেন্ডের সাথে ঘুরতে গিয়ে নিজের কাজ সব ভালো লাগলো। যদিও গরমের কারণে একটু খারাপ লাগলো। তারপরও অনেক ভালো লাগলো ঐদিন ঘুরতে গিয়ে। তাই আজকে এই পোস্ট আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করলাম। আশা করি নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত পড়ে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1944409009718468956?t=1n30HKB6Snx3fI6su5JkLg&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1944405250263199941?t=3P9cG0OnA6egkie_0t8coQ&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1944406130022645913?t=dpYlYJgZYOOXlN3T2YWnnQ&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1944406596206948824?t=dDqENK-Ygb-xaP-ohAjh2A&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1944407290213175593?t=Qqq3RVZqIOehNgYg0VLoXA&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1944407858063249719?t=oo6B3RTA_tBChWxQJxYANg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন।নদীর ধারের নির্মল শান্তি আর জলরাশির মোহনীয় দৃশ্য মনে প্রশান্তি আনে। এমন মুহূর্ত জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার।আপনার ছবি দেখে আমারও পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল! নদীর পাড়ে সন্ধ্যার সেই আবহ, পাখির ডাক।নদীর পাড়ের এমন সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মনে করিয়ে দেয় প্রকৃতিকে রক্ষা করার দায়িত্ব। এতো সৌন্দর্য যেন অক্ষুণ্ণ থাকে!
নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আর সাথে যদি প্রিয় মানুষ গুলো থাকে তাহলে তো কথায় নেই। নদীর জোয়ার দেখতে অনেক ভালো লাগে। নিশ্চয় অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
্নদীতে জোয়ারের পানি থাকলে নদীর সৌন্দর্য বহুগুন বেড়ে যায়। তবে নদীর ভাটার রুপও দেখতে খারাপ লাগে না। আসলে নদীর পারে ঘুরতে যাওয়ার মজাই অন্য রকম। আর প্রিয়জনের সাথে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দই অন্য রকম। ধন্যবাদ আপু নদীর তীরে ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।