ভ্রমণ :- হঠাৎ করে নদীতে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব হঠাৎ করে নদীতে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। আজ কয়দিন যাবত অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। আর বৃষ্টির কারণে নদীর পানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে কোম্পানীগঞ্জ সুইস গেট ভেঙে যাওয়ার কারণে সকাল এবং সন্ধ্যা নদীতে দুই সময় নদীতে জোয়ার আসে। যখন নদীতে জোয়ার থাকে না তখন নদী অনেক ছোট দেখা যায়। আর ওই সময় নদীতে কোন পানি তেমন বেশি থাকে না। আর যখন নদীতে জোয়ার আসে তখন নদীতে পানি একদম ভরপুর থাকে। তখন নদীতে অনেক বড় দেখা যায় আর নদীর জোয়ারের ঢেউ কিন্তু অনেক বড় বড় হয়। ওই সময় নদীতে পানি থৈ থৈ করে।
কিছুদিন আগে যখন আমি দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমালাম। তখন আমার হাজব্যান্ড এসে বলতে লাগলো আজ নদীতে অনেক বড় জোয়ার আসবে। তখন আমাকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো নদীতে জোয়ার দেখতে যাবে নাকি। যদিও আমি প্রথমে রাজি হয়নি পরে আমার হাজব্যান্ড বলতে লাগল গাড়ি করে নদীর ধারে নেবে। এরপর আমি রাজি হলাম নদীতে জোয়ার দেখতে যাব। আর ওই সময় অলরেডি কিন্তু নদীতে জোয়ার আসতে লাগলো। আর যখন নদীতে জোয়ার আসে তখন শব্দ করে। যদিও আমার হাজবেন্ডের বাড়ি থেকে নদীর কাছে আছে। আর নদীর জোয়ার দেখতে আমি যেইখান দিয়ে নৌকা চালাই ওইখানে গেলাম।
যদিও আমরা দুজন যাওয়ার সময় মেয়েকে সাথে নিয়ে গেলাম। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা নদীর ধারে পৌঁছে গেলাম। আর নদীর উপরে জমিগুলোর মধ্যেও ওই সময় পানি উঠল। তবে নদীর ধারে গেলে একটা বিষয় খুব ভালো লাগে সেটি হচ্ছে নদীর দুই পাশে সরকারি গাছ আছে। আর গাছগুলো দেখতেও কিন্তু খুব চমৎকার লাগে। যদিও এখন নদীতে যে পানি আসে এই পানি গুলো নোনা পানি। এই কারণে অনেক গাছ নষ্ট হয়ে গেল। যখন আমি নদীর ধারে গেলাম তখন নদীতে পানি এত বেশি ছিল যা বলে বোঝানো যাবে না। আর ওই সময় নদীটি দেখতেও কিন্তু খুব ভয় লাগলো। কারণ নদীর এপাশ থেকে ওই পাস পর্যন্ত সম্পূর্ণ পানি আর পানি।
আর আমার ফটোগ্রাফি দেখলে বোঝা যায় ওই সময় নদীর জোয়ারের পানি গুলো অনেক বড় বড়। তবে ওইখানে মাঝিটি নদীর মাঝখান দিয়ে রশি দিয়ে বান দিয়ে নিয়ে গেলেন। কারণ রশি দিয়ে নৌকা চলাচল করাতে সুবিধা হয়। আর আমরা নদীর ধারে যখন গেলাম তখন নৌকার মাঝি বারবার বলতে লাগলো নদীর ওই পাশে যাবে নাকি। কারণ নদীর নৌকার মধ্যে উঠলে আবার কিন্তু অন্যরকম সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তখন আমার হাজব্যান্ড আমাকে জিজ্ঞেস করল নদীর ওই পারে যাবে কিনা। আমি প্রথমে মানা করলাম নদীতে নৌকায় উঠবো না। কারণ সাথে আমার মেয়েও আছে। তখন আমার হাজব্যান্ড বলতে লাগল নদীর এই নৌকাগুলো ভালো। আর এই নৌকাগুলোর মধ্যে রিক্স নেই। এরপর আমি রাজি হলাম নৌকায় করে নদীর ওই পারে যাব।
তারপর আমার মেয়েকে আমার হাজব্যান্ড কোলে নিলেন। আর আমি নৌকাতে উঠে বসলাম। তবে যখন নদীর মাঝখানে গেলাম তখন নৌকাটি পানিতে ঢোলতে লাগলো। সত্যি বলতো ওই সময় আমার কাছে খুব ভয় লাগলো। আর নদীর এই পার থেকে ওই পার অনেক দূর। এরপর আমরা নদীর ওই পারে গেলাম। আর ওই পারে গিয়ে মোটামুটি কিছু সময় ছিলাম। এবং নদীর ওপরে দোকান থেকে আমার হাজব্যান্ড রং চা খাওয়ালেন আমাকে। তারপর আবার আমরা নৌকায় করে নদীর এই পাশে চলে আসলাম। প্রথমবার নৌকা করে ওই পাড়ে যেতে অনেক ভয় লাগলো। আর কিন্তু পরেরবার আসতে তেমন ভয় লাগলো না। সত্যি ঐদিন নৌকায় করে নদী পার হতে যেমন ভালো লাগলো। তেমনি ঘুরতে গিয়ে ভালো সময় কাটালাম। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/bdwomen2/status/1951628285194174592?t=VPxS2QtFFxENTbxpxaYXxQ&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1951631778193748035?t=FtaFOO9nHBUYMRddMgFNfg&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1951632349411922367?t=fOHRk7aDn9KYZzs0cfJ2rg&s=19
অসাধারণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আপু! আপনার লেখা পড়ে মনে হলো যেন আমিও নদীর ধারে গিয়ে জোয়ারের ঢেউ দেখছি, গাছের পাশে দাঁড়িয়ে বাতাসে ভিজে যাচ্ছি। আপনার বর্ণনা এতটা প্রাণবন্ত যে পুরো গল্পটি চোখের সামনে ভেসে উঠলো। বিশেষ করে মেয়েকে কোলে নিয়ে নৌকায় ওঠার অংশটা ছিল ভীষণ মায়াভরা। আপনার লেখার গতি, ছবি আর অনুভূতি—সবকিছু একত্রে অসাধারণ করেছে পোস্টটিকে।ভবিষ্যতেও এমন চমৎকার গল্প ও ছবি নিয়ে আরও পোস্ট চাই। শুভকামনা রইলো আপু ।
Congratulations!
Your post has been manually upvoted by the SteemPro team! 🚀
This is an automated message.
If you wish to stop receiving these replies, simply reply to this comment with turn-off
Visit here.
https://www.steempro.com
SteemPro Official Discord Server
https://discord.gg/Bsf98vMg6U
💪 Let's strengthen the Steem ecosystem together!
🟩 Vote for witness faisalamin
https://steemitwallet.com/~witnesses
https://www.steempro.com/witnesses#faisalamin
আসলে ঐদিন নদীর ধারে ঘুরতে গিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছি। আর মাঝেমধ্যে এরকম সবাই নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়া দরকার। বিশেষ করে নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আর ঐদিন নদীতে নৌকায় উঠে অনেক ভালো লাগলো।আর তুমি কিন্তু খুব সুন্দর করে পোস্টের বর্ণনা লিখেছ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। পোস্টটি সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কোথাও ঘুরতে গেলে মন ভালো হয়। আর মাঝে মাঝে যদি সুন্দর কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া হয় তাহলে অনেক ভালো। দারুন একটি সময় কাটিয়েছেন আপু।