ভ্রমণ :- আকিল পুর ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বিগত কয়েক মাস আগে আমরা পরিবারের সবাই আকিলপুর ঘুরতে গেলাম। আর এই জায়গাটি হচ্ছে চট্টগ্রামের মধ্যে। এবং আমাদের বাড়ি থেকে এই জায়গাটি অনেক দূর। তারপর আমরা পরিবারের সবাই ঠিক করলাম চট্টগ্রাম আকিলপুর ঘুরতে যাব। এই কারণে একদিন নির্দিষ্ট একটি দিন ঠিক করলাম। এবং ভোর ছয়টার দিকে আমরা সবাই বাড়ি থেকে বাইর হলাম। যদিও ওই সময় ঠান্ডা ছিল ঠান্ডার কারণে সকালবেলা উঠতে একটু কষ্ট হয়েছে। তারপরও নতুন একটি জায়গার মধ্যে ঘুরতে যাব এই কারণে সবাই জলদি উঠে রেডি হয় বাইর হলাম।
এরপর আমরা গাড়িতে উঠে আকিল পুর এর উদ্দেশ্যে যেতে লাগলাম। আর কিছুদূর গিয়ে আমরা গাড়ির পেট্রোল নিলাম এবং দরকারি কাজ সেরে নিলাম। এরপর আমরা সবাই মাইক্রো নিয়ে ফেনীতে চলে গেলাম। তারপর আমরা যখন ফেনী থেকে বাইর হলাম ৯ টা বাজে একটি রেস্টুরেন্টে নাস্তা করলাম। সত্যি বলতে একসাথে সবাই নাস্তা করেও খুব ভালো লাগলো। আর ওই পোস্ট আমি অন্য এক সময় করব। এরপর যাওয়ার পথে আমি কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তবে মজার বিষয় হচ্ছে গাড়িতে যখন উঠলাম তখন আমাদের চোখে অনেক ঘুম ছিল হালকা গাড়িতে ঘুম গেলাম। আর ঘুম থেকে উঠে দেখলাম আমরা আকিলপুর এর রাস্তায় চলে আসলাম।
যদিও রাস্তাটি তেমন ভালো ছিল না তারপরও আস্তে আস্তে আমরা গাড়ি নিয়ে সামনের দিকে যেতে লাগলাম। আর কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা ওই জায়গাতে চলে গেলাম। সত্যিই সাগরের পাশে গিয়ে নিজের কাছে অন্যরকম ভালো লাগলো। আর নতুন জায়গাতে গেলে তো এমনিতে ভালো লাগে। আর গাড়ি থেকে নেমে প্রথমে চারপাশ আমি দেখতে লাগলাম। ওই সময় আমি কিছু আরো ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তারপর আমি আমার মেয়ে এবং হাজব্যান্ড সবাই মিলে সমুদ্রের ধারে গেলাম। তবে সমুদ্রর পাশে বড় বড় ইন্টারলক রাখলো। অনেকে বলে সমুদ্রর বড় বড় ঢেউ আসলে এই ইন্টারলক গুলো থাকলে তাহলে সমুদ্র চারপাশ ক্ষতি হয় না। আর অনেকে দেখি ওই বড় বড় ইন্টারলকের উপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফটো তুলতে লাগলো।
আর ওই সময় কিছু সাগরে জোয়ারও ছিল। আর সাগরের মাঝখানের দিকে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। আর এই জায়গাতে আমি এই প্রথম গেলাম। যদিও অন্যান্য সাগর দেখতে অনেকবার গেলাম। তবে সাগরের ঢেউ দেখলে এমনিতে ভয় লাগে। আর ওই সময় দেখি সাগরের পাশে সকাল বেলা ঘুরতে অনেক লোক আসলো। যদিও সাগরের পাশে বিকেল বেলা ঘুরতে লোক আসে বেশি। তবে আমরা সাগরের পাশে বড় ইট গুলোর উপর বসে বসে কিছুক্ষণ সময় কাটালাম। আর ঠান্ডার সিজনে গেলেও ওই সময় মোটামুটি ভালোই গরম লাগলো। আর ওই সময় আমরা পাশের দোকান থেকে কিছু হালকা নাস্তা ও নিলাম খাওয়ার জন্য।
তবে আমার মেয়েকে আমার হাসবেন্ড রাখলো। কারণ ছোট বাচ্চাগুলো কোথাও গেলে তারা এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করে। আর তাদের দিকে একটু খেয়াল রাখতে হয়। কারণ খেয়াল না রাখলে অনেক সময় বিপদ। আর আমাদের পরিবারের সবাই সত্যি গিয়ে সাগরের ধারে গিয়ে অনেক মজা করেছে। যদি এসব জায়গাতে রেস্টুরেন্ট নেই। তবে সাগরের পাসগুলোর সৌন্দর্য কিন্তু অসাধারণ। আর আমরা এত দূর থেকে সকাল ছয়টা রওনা দেওয়ার কারণে জলদি ওইখানে পৌঁছে গেলাম। এই কারণে আমরা অনেকক্ষণ সময় ঐখানে ঘুরতে পারলাম। আশা করি আমার ঘুরতে যাওয়া সাগরের ধারে পোস্টটি দেখে আপনাদের ভালো লাগবে। আর এইসব জায়গাতেই ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1963960283707113767?t=734mUELRDwBNr3cHnjx6gw&s=19