ভ্রমণ :- বৃষ্টির সময় ভাতিজা কে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ13 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

IMG_20250709_100018.jpg

IMG_20250709_100009.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বৃষ্টির সময় ভাতিজাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। আমার জেঠাতো ভাইয়ের ছেলে রিফাতকে নিয়ে আমি বৃষ্টির সময় ঘুরতে বাইর হলাম। মূলত কয়েকদিন যাবত আমাদের এইখানে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। আর বৃষ্টির কারণে আমরা অনেক চিন্তিত। কারণ বাড়ির পাশে ছোট ফেনী নদী আছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং ও জোয়ারের পানির কারণে অনেক সময় আমাদের এদিকে রাস্তা ঘাট থেকে শুরু করে মানুষের বাড়ি পর্যন্ত পানি উঠে। আর রাত্রেবেলা অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আমি ঠিক করলাম চেয়ারম্যান ঘাট ঘুরতে যাব এবং পরিবেশ দেখে আসব। তখন ভাতিজাকে বললাম ঘুরতে যাব চেয়ারম্যান ঘাট।

আর তখন আমার ভাতিজা ও রাজি হয়েছে ঘুরতে যাবে। তখন ভাতিজাকে নিয়ে হেঁটে হেঁটে চেয়ারম্যান ঘাট দেখতে গেলাম। আর ওই সময় বৃষ্টির কারণে কারেন্ট এবং কোন গাড়িও ছিল না। আর এখন বেশিরভাগ গাড়িগুলো কারেন্টের চার্জ এর মাধ্যমে চলে। আর আমার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে ওই সময় পরিবেশ ও খুব ভয়ঙ্কর ছিল। যদিও আমি যে সময় চেয়ারম্যান ঘাট এবং নদীর ধারে গেলাম ওই সময় নদীতে জোয়ার ছিল না। যখন নদীতে জোয়ার আসে তখন এই রাস্তাগুলো জোয়ারের পানির কারণে সবগুলো ডুবে থাকে পানির নিচে। আর ওই সময় এই জায়গাগুলো দেখতে খুব ভয়ঙ্কর লাগে। আর নদীর পাশে যাদের বাড়ি ঘর আছে তারা সব সময় ভয়ে থাকে।

IMG_20250709_100711.jpg

IMG_20250709_100706.jpg

তবে আমাদের বাড়ি থেকে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট লাগে নদীর ধারে যেতে। যখন আমরা চেয়ারম্যান ঘাট গেলাম তখন মানুষ ঘুরতে বাইর হলো নদী দেখতে। তবে নদী দেখতে গিয়ে চিন্তা করতে লাগলাম অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে কোথায় যাব। কারণ অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে কোথাও দাঁড়ানোর জায়গাও নাই। আর ওই সময় বৃষ্টির কারণে আমাদের এদিকে মাছের দাম খুব কম ছিল। কিছু মানুষ গেল বৃষ্টি এবং বন্যার পরিবেশ দেখার জন্য। আর কিছু মানুষ গেল মাছ কিনতে। দূরদূরান্ত থেকে লোক আসতে লাগলো মাছ কেনার জন্য। কারণ নদীর সামনে থেকে মাছ কিনলে মাছের দাম খুব কম থাকে। যদিও ওই সময় কোন মাছ ছিল না। তারপরও কিন্তু অনেক মানুষ আসলো মাছ কেনার জন্য।

এবং চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নদীর ঘাটে যাওয়ার পথে রাস্তা টির মধ্যে অনেক কাদা ছিল। কাদা এতই বেশি ছিল যে মানুষ হেটে যেত কষ্ট হচ্ছে। তবে আমরা যে সময় গেলাম ঐ সময় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আর বৃষ্টির কারণে ঘুরতে গেল অনেক সময় ভালো লাগেনা। কারণ অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে কাদা মাটি এবং পরিবেশ একদম অন্যরকম থাকে। আর আমরা যখন সকালবেলা গেলাম তখন নদীতে পানি একদম ছিল না। তবে দুপুরের সময় যখন জোয়ার আসবে তখন রাস্তাগুলো ডুবে যায় পানির নিচে। তবে এই পরিবেশে ঘুরতে গেলে অনেক কিছু উপলব্ধি করা যায়।

IMG_20250709_100234.jpg

IMG_20250709_100048.jpg

বিশেষ করে যারা নদীর পাশে বসবাস করে তাদের জীবন অনেক কষ্টে দেখা যায়। আবার কিছু মানুষ দেখা যায় শখ করে নদীর ধারে এসে টাইম পাস করে। তবে আজব দুনিয়ায় আজব ধরনের মানুষ দেখা দেয়। আর আমরা ঘুরতে গিয়ে ভাতিজার আমি মানুষের জন্য চিন্তা করলাম। তবে আমাদের নিজের জন্য চিন্তা করলাম। কারণ বৃষ্টির কারণে এবং নদীর জোয়ারের কারণে আমাদের বাড়ির চারপাশে পানি উঠে। আর অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে তো আরো বিপদ। তাই নিজে ঘুরতে গিয়ে পরিবেশ দেখে আসলাম ভাতিজাকে নিয়ে। এ হচ্ছে ভাতিজাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

IMG_20250709_100700.jpg

IMG_20250709_100254.jpg

IMG_20250709_100247.jpg

IMG_20250709_100039.jpg

IMG_20250709_100028.jpg

IMG_20250709_100023.jpg

IMG_20250709_100714.jpg

IMG_20250709_100719.jpg

device : Huawei

লোকেশন

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Screenshot_20241121_144146.jpg

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 13 days ago 

Screenshot_2025-07-26-20-59-43-065_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-07-26-20-57-54-443_com.twitter.android.jpg

 13 days ago 

বৃষ্টির পরিবেশ আলাদাভাবে অনুভব করা যায়। আর আপনি চেয়ারম্যান ঘাট বৃষ্টির সময় কাদা মাটি দিয়ে হেঁটে উপভোগ করতে গিয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। কারণ গ্রামের দিকগুলো প্রচুর বৃষ্টি হলে কাদামাটি জমে যায়। কিন্তু আপনি খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝেও শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।