ভ্রমণ :- চাচাতো ভাইয়ের সাথে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব চাচাতো ভাইয়ের সাথে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। কালকে বিকেল বেলা হঠাৎ করে আমার চাচাতো ভাই বলতে লাগলো ঘুরতে যাবে। ওই সময় আমার মেয়ে আমার সাথেই ছিল। আর বর্তমানে আমার মেয়ে কিছু কথা বলতে পারে এবং কথাগুলো বোঝে। যখন আমি চাচাতো ভাইয়ের সাথে ঘুরতে যাব শুনে আমার মেয়ের সাথে সাথে বলতে লাগলো সেও আমার সাথে যাবে। প্রথমে আমি আমার মেয়েকে নিতে রাজি ছিলাম না। তবে মেয়ে সাথে সাথে কান্নাকাটি করতে লাগলো যাওয়ার জন্য। তখন উপায় না বুঝে মেয়েকে নিয়ে চাচাতো ভাইয়ের সাথে ঘুরতে বাইর হলাম। আর ওই সময় মোটামুটি ভালো বৃষ্টি হচ্ছে।

কিছুক্ষণ বৃষ্টি হচ্ছে আবার বৃষ্টি বন্ধ হচ্ছে। এরপর মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বাইর হলাম। এমন সময় একজন লোক বলতে লাগলো জমি এবং নদীতে পানি অনেক বেড়ে গেল। আর আমাদের এদিকে বন্যার আশঙ্কা বোঝা যাচ্ছে। যদিও চাচাতো ভাইয়ের সাথে আমরা চেয়ারম্যান ঘাট ঘুরতে যাচ্ছিলাম। আমাদের এলাকায় একটি জায়গা আছে চেয়ারম্যান ঘাট ওই জায়গাটি খুব সুন্দর এই কারণে দূর থেকে অনেক মানুষ আসে এখানে ঘুরতে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় চেয়ারম্যান গাঁটে। এরপর আমি আর আমার চাচাতো ভাই চেয়ারম্যান গাঁটের দিকে যেতে লাগলাম। আর ওই সময় হালকা বৃষ্টি দিলে আমরা একটি বাড়ির সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম। তবে আমার মেয়ে ঘুরতে গিয়ে অনেক খুশি হয়েছে।

আর ওই বাড়ির সামনে যখন কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম তখন আমার মেয়ে দেখে অনেক হাসাহাসি করতে লাগলো। তারপর আমরা কিছুক্ষণের মধ্যে চেয়ারম্যান গাঁটে চলে গেলাম ঘুরার জন্য। এমন সময় যখন আমরা চেয়ারম্যান ঘাট গেলাম তখন আমার মেয়ের কোলে থাকা অবস্থায় ঘুমিয়ে গেল। অনেকক্ষণ তাকে ডাকাডাকি করলাম কিন্তু সেই ঘুমিয়ে পড়েছে। এরপর আমরা কিছুক্ষণ সময় চেয়ারম্যান ঘাট ঘুরলাম। চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সামান্য দূরে হচ্ছে নদী। ওই সময় আমি আর আমার মেয়ে আর চাচাতো ভাই মিলে নদীর ধারে গেলাম। যদিও ওই সময় নদীর পানি আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। আর ওইখানে দেখি অনেকগুলো মানুষ নদী দেখতে গেলেন।

আর নদীর উপরে একটি জায়গা ছাদ দিয়ে পাকা করে রাখল যখন বৃষ্টি আছে মানুষ দাঁড়ানোর জন্য। আর ওই জায়গার মধ্যে দেখি অনেকগুলো লোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নদীর পানি এবং জোয়ার দেখতে লাগলো। যদিও অনেকে অনেক দূর থেকে আসলো এখানে। আর ওই সময় আমি মেয়েকে নিয়ে ওইখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। যদিও ওই সময় আমার মেয়ে ঘুমিয়ে ছিল। আর এদিকে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। চিন্তা করলাম বৃষ্টির মধ্যে মেয়ে ভিজলে অসুখ হবে। তবে জোয়ার যখন আসে তখন উপরে জমিগুলোর মধ্যে পানি চলে আসে। আর নদীর পাশে বাড়ি গুলো এর মত হালকা পানি আসে। যদিও আমাদের বাড়ির এদিকে এখনো কোনো সমস্যা নাই।

যখন হালকা বৃষ্টি থামল তখন আমরা আস্তে আস্তে চেয়ারম্যান ঘাট থেকে রাস্তার দিকে চলে আসলাম। তখন চাচাতো ভাই আমি আর আমার মেয়ে আমরা একটি দোকানে বসলাম। দোকানে বসে হালকা নাস্তা করলাম। ওই সময় আমার মেয়ে এখনো ঘুমিয়ে আছে। এরপর এইখানে বসে আমি আর আমার চাচাতো ভাই কিছু হাতের নাস্তা খেলাম। তবে হাতের নাস্তা গুলো খেতে বেশ মজা লাগে। এরপর নাস্তা খেয়ে যখন আমরা উঠতে লাগলাম তখন মেয়ের জন্য কিছু নাস্তা নিয়ে নিলাম। বাড়িতে আসলে মেয়ে যেন খেতে পারি নাস্তা গুলো। আর মাঝেমধ্যে এসব জায়গাতে ঘুরতে গেলে মন মানসিকতা ভালো থাকে। তারপর আমরা বাড়ির দিকে চলে আসলাম। সত্যি ঐদিন চাচাতো ভাই এবং মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে অনেক ভালো লাগলো। আশা করি আমার পোস্ট দেখে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

device : Huawei

_{লোকেশন}

আমার পরিচয়

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।