ভ্রমণ :- লালন ফকিরের মাজার পরিদর্শন ( পর্ব ৪ )
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
আজকে আবারো চলে আসলাম লালন ফকিরের মাজার পরিদর্শন করার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করতে। এর আগের পর্ব আপনাদেরকে জাদুঘরের ভিতরের কিছু জিনিসপত্র দেখিয়েছিলাম। আজকে আবার আসলাম কয়েকটা জিনিসপত্র দেখাতে। আমিও সেখানে নিজের একটা ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। এরকম একটা জায়গায় গিয়েছি নিজের ছবি না তুললে হয়। আর কখনো যেতে পারবো কিনা জানিনা। কারণ হচ্ছে আমাদের এখান থেকে ওই জায়গাটা অনেক বেশি দূরে। তার জন্য হয়তোবা আর কখনো যাওয়া হবে না।
এখানে দেখতে পেলাম একটা কাঠের লালন শাহের মূর্তি। এরকম চিত্রকর্মগুলো দেখতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে। কাঠের তৈরি শিল্পকর্ম গুলো আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কিন্তু একটা মানুষের শিল্পকর্ম তৈরি করা সত্যিই অনেক কঠিন। এই শিল্পকর্মটা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এখানে আবার অনেকগুলো ছবি লাগানো রয়েছে। আমি ছবিগুলোর একটা একটা করে ফটোগ্রাফি করেছি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। কিছু ফটোগ্রাফি এবং কিছু ছবি আঁকা রয়েছে।
এখানে একটা শিল্পকর্ম আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। দেখতে পাচ্ছেন অসাধারণ একটা পেইন্টিং। এই পেইন্টিং গুলো করা অনেক কঠিন বলে আমি মনে করি। যেহেতু নিচে কিছুটা পেইন্টিং করতে পারি, এই ক্ষেত্রে বুঝতে পারি পেইন্টিং করাটা কতটা কঠিন। হয়তোবা দেখে এই শিল্পকর্মগুলো বোঝা কঠিন। আমার এখানে কিছু ছবি দেখতে পেলাম যেগুলো মনে হয় লালন ফকিরের পরিবারের কেউ হবে। যদিও এই সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই। তবে আমার মনে হয় এগুলো অনেক আগে থেকেই সংগ্রহ করা।
কোথাও ঘুরতে গেলে যখন নতুন কিছু দেখতে পাই তখন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি হয়। আমাদের ফেনী থেকে কুষ্টিয়া অনেক দূরের জায়গা। কখনো সেখানে যাবো এটাই ভাবিনি। আর হয়তোবা এটা সম্ভব হয়েছে আমার বাংলা ব্লগের কারণে। আমার বাংলা ব্লগের সদস্যদের সাথে সাথে পরিচয় হওয়ার কারণেই কুষ্টিয়াতে যেতে পেরেছি। আর এত কিছু দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে। নতুন নতুন জায়গা গুলোতে ঘুরতে পেরেছি। আমার জন্য সত্যিই এটা অনেক পাওয়ার একটা বিষয়। এখানে গিয়ে অনেক কিছুই দেখতে পেয়েছি।
আমার কাছে এক একটা ছবি সম্পর্কে লিখতে যেন ওই দিনের কথাগুলো মনে পড়তেছে। এখানে নিচের উপরের ছবিটাতে দেখতে কেমন যেন গ্রাম্য একটা পরিবেশ মনে হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে কল্পনায় এরকম একটা গ্রাম অনুভব করতে পারছি। যেখানে লালন ফকির গান করতে পছন্দ করত। আর সবাই তার ভক্ত গান শোনার জন্য। এই বিষয়টা ভাবলেই কেমন জানি ভালো লাগে। যদি ও আমার লালন ফকিরের গান তেমন একটা শোনা হয় না। তবে আপনাদের ভাইয়া শুনতে খুবই পছন্দ করে। সেখানে কি আরো কি কি দেখতে পেলাম পরবর্তী পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1961282691003027894?t=5lBm4E_sU0RGV9K4YWrgbQ&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1961331180969533571?t=URUL2mE2deAh753ENyFa-g&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1961332276127830496?t=Ue3NGm8T0xMOtxHXnsHZ0g&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1961332894112387548?t=nWyoxaGrT6ZYvpf-CCR0dQ&s=19