ভ্রমণ :- রবীন্দ্রনাথ কুঠিবাড়ির সামনে কাটানো কিছুটা মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
বেশ কিছুদিন আগেই গিয়েছিলাম কুষ্টিয়া ঘুরতে। এই বিষয়টা আপনাদের মাঝে এর আগেও শেয়ার করেছিলাম। কবে যেহেতু আমরা বেশ কয়েকটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম, তার মধ্যে একটা জায়গা হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ কুঠিবাড়ি। আমরা গিয়েছিলাম মূলত একটা গাড়িতে করে বেশ কয়েকটা জায়গায় ঘুরতে। তো আমরা সেখান থেকেই মূলত আমরা রবীন্দ্রনাথ কুঠি বাড়ির সামনে গিয়ে পৌঁছালাম। কুঠিবাড়ির ভেতরে প্রবেশ করার আগের মুহূর্তে আমরা দেখলাম ছোটখাটো একটা পার্কের মত জায়গা রয়েছে। সেখানে এবারে খুবই অল্প কয়েকটা রাইড এর ব্যবস্থা ছিল ছোট বাচ্চাদের জন্য।
তার সাথে সেখানে ছিল কয়েকটা ঘোড়া। মূলত এই ঘোড়াগুলো ভাড়া হিসেবে চালিত করা হয়। কেউ যদি ঘুমায়ে উঠতে চায়, তাহলে এর ভাড়া দেওয়া লাগে। সেখানে যাওয়ার পর ঘোড়া দেখার পর একেবারে খুশি হয়ে গেল। আর ঘোড়ায় ওঠার জন্য সে একেবারে অস্থির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কান্নাকাটি করা শুরু করে দিল। তখন আমি বললাম দেখি কথা বলে ওকে ঘোড়ায় উঠানোর জন্য। পরে ওই লোকটার সাথে কথা বলে ওকে ঘোড়ায় উঠানোর ব্যবস্থা করলাম। তখন ওইখানে একটা খালি জায়গা ছিল, লোকটা ওকে ঘোড়ায় চড়িয়ে খালি জায়গাটার একদম সামনের অংশে নিয়ে গেল।
এরপর আবারো সামনের দিকে নিয়ে আসলো। এভাবে করে দুইবার নাশিয়াকে গোড়াই নিয়ে চড়ালো। সে তো বেশ ভালই উপভোগ করল। বিশেষ করে অনেক খুশি হয়েছিল। এরপর ঘোড়া থেকে নেমেই আবারো অন্য রাইডগুলোতে চলার জন্য বায়না শুরু করে দিল। সেখানে আমরা দেখতে পেলাম বেলুন ফাটানোর একটা জায়গা ছিল। তবে আমরা ওখানে যাই নাই। এরপর দেখলাম আরো কিছু রাইড ছিল, যেহেতু নাশিয়া কান্নাকাটি করছিল, তাই ওকে কয়টা রাইডে উঠালাম। আসলে ছোট বাচ্চাদের কে নিয়ে এসব জায়গায় গেলেই তাদের বায়না শুরু হয়ে যায়।
এখানে ছিল একটা বড় নৌকা। যেটাতে ওঠার জন্য অনেক বেশি কান্নাকাটি করেছিল। তবে আমার কাছে মনে হয় ছোট বাচ্চার জন্য এটা অনেক রিস্ক হয়ে যায়, এইজন্য অনেকবার বলার পরেও আমি আসলে নৌকাটাতে চড়তে দিলাম না। আসলে ছোট বাচ্চারা যতই বায়না ধরুক কোন রিস্কের কাজ করা উচিত নয় বলে আমার মনে হয়। এজন্য সে জায়গায় ওর বেশ কিছু আবদার মানা হয়নি। তবে ছোট্ট একটা জায়গার মধ্যে আমরা কিন্তু বেশ ভালোই উপভোগ করেছি। জায়গাটা এমনিতে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে।
তবে নাশিয়ার ঘোড়া চড়ানোর মুহূর্তটাই ছিল সবচেয়ে সেরা। ঘোড়ায় চড়তে বেশ ভালোই উপভোগ করল। আর এটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে, আবার গাড়ি থেকে জার্নি করে গেলে খুব একটা ভালো লাগে না। তবে জায়গাটা যদি সুন্দর হয়, তাহলে পরিবেশটা উপভোগ করতেও ভালো লাগে। তবে এখানে এসে আমরা কিন্তু একটা বিখ্যাত খাবার উপভোগ করেছিলাম। সেটা আপনাদের মাঝে পরবর্তীতে শেয়ার করবো। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1939518168055345406?t=4XhYKAqrlu6uicRb4rKCow&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1939664536921051615?t=ZNy3yQLf8a3-4FLPekGyxw&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1939665663934771646?t=l7xHm9wwuxWhrmmXuqjl_w&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1939666669036789856?t=gXO_wrEkejsE2hdWVZ1X1Q&s=19
কুষ্টিয়া ঘুরতে যাওয়ার বেশ কয়েকটি ব্লগ আমি পড়েছি। বেশ ভালো এনজয় করেছিলেন কুষ্টিয়ায়। অনেক জায়গাই ঘুরেছেন। তবে আজকে রবীন্দ্রনাথ কুঠি বাড়ির ঘুরতে যাওয়ার ব্লগটি পড়ে বেশ ভাল লাগলো। নাশিয়াই মনে হয় বেশি আনন্দ পেয়েছে ওখানে ঘুরতে গিয়ে।রবীন্দ্রনাথ কুঠি বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ নাশিয়া অনেক বেশি আনন্দ পেয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ কুঠিবাড়িতে আপনারা দারুণ মজা করেছেন বুঝতে পারছি,বিশেষ করে আপনার মেয়ে ঘোড়ায় চড়ে বেশ আনন্দিত।তাছাড়া বাচ্চারা খুবই ভালো পরিবেশ পায় এমন স্থানে।ধন্যবাদ আপু।
ঘোড়ায় চড়তে পেরে সে সত্যি খুব আনন্দিত হয়েছিল।