ভ্রমণ :- লালন ফকিরের মাজার পরিদর্শন ( পর্ব ৬)
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
এর আগে পর্ব আপনাদের মাঝে কিছু জিনিসপত্রের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। মূলত লালন ফকিরের মাজারের সামনের দিকেই এই দোকানগুলো রয়েছে। গত পর্বে আপনাদের মাঝে কিছু কাঠের জিনিসপত্র শেয়ার করেছিলাম। এখানে দেখেন মাটির অনেক জিনিসপত্র রয়েছে। কাঠের তৈরি জিনিসপত্রগুলো যেমন ভালো লাগে তেমনি মাটির তৈরি জিনিসপত্র গুলো কিন্তু খুবই সুন্দর। আসলে এই জিনিস গুলো দেখলেই কিনতে ইচ্ছা করে। কিন্তু ওই যে কোন কিছুই কিনতে পারলাম না। এত দূর থেকে জিনিসগুলো নিয়ে আসা সম্ভব না।
মাটির তৈরি জিনিস তো আরো বেশি রিস্ক এর ব্যাপার। ভেঙে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে আমার ইচ্ছে করছিল মাটির তৈরির প্লেট কেনার। আর এই প্লেটের মধ্যে কিন্তু খুব সুন্দরভাবে পেইন্টিং করতে পারবো এই জন্য। আসলে যেটাই দেখি সেটাতেই পেইন্টিং করার ইচ্ছে জাগে। এই জিনিসগুলো দেখে আমার শুধু পেইন্টিং করার ইচ্ছে করছিল। এখানে দেখতে পাচ্ছেন নারিকেলের মালার তৈরি কি একটা জিনিস, আমার আসলে এই নামটা জানা নেই। কিন্তু এগুলার ফটোগ্রাফির করে নিলাম।
আমার কাছে আবার মাটির তৈরি ব্যাংক গুলো খুব সুন্দর লাগছিল। এগুলোকে টাকা রাখলে বেশ মজাই লাগে। আবার যখন পুরোটা টাকায় ভরানো যায়, তখন ভাঙলে খুবই সুন্দর দেখায়। আমি প্লাস্টিকের ব্যাংকগুলোতে অনেকবার টাকা রেখেছিলাম। কিন্তু এরকম মাটির ব্যাংকে টাকা রাখা হয়নি। আমার তো এগুলোতে টাকা রাখতে ইচ্ছে করতেছিল। যদিও চাইলে আমাদের ঐখান থেকেই কিনতে পারি। কিন্তু আসলে কিনবো কিনবো বলে কখনো কেনা হয় না। তবে মাটির ব্যাংকে টাকা রাখতে ভীষণ ভালো লাগে।
এরপর আবার দেখতে পেলাম এখানে অনেকগুলো খাবারের দোকান। এখানে অনেক মজার মজার জিনিসপত্র গুলো পাওয়া যায়। বিশেষ করে সন পাপড়ি দেখে আমার অনেক লোভ লাগলো। তাই জন্য আমি একটা কিনে নিলাম। যাইহোক এই একটা জিনিস অন্তত এখান থেকে কিনতে পেরেছিলাম। শোনপাপড়ি দেখলেই কেমন জানি খেতে ইচ্ছা করে। আর আমার সাথে অনেক বেশি ভালো লাগে। তার জন্য আমি এক বক্স কিনে নিলাম। এটা কিন্তু আমি আবার বাড়িতে নিয়ে আসলাম। আর সবাইকে দিলাম।
এখানে কিন্তু আরো অনেকগুলো খাবারের জিনিসপত্র ছিল। বিশেষ করে এই জিনিসগুলো ছোট বাচ্চার অনেক বেশি পছন্দ করে। তবে আমার কাছে অন্য কিছু তেমন একটা ভালো লাগে না। এছাড়াও এখানে আরো অনেক কিছুই দেখতে পেলাম। খুব সুন্দর তবলা ছিল এখানে। তবলা গুলো দেখতেও কিন্তু বেশ দারুন লাগছিল। আরো বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রগুলো ছিল। যা দেখে আসলে খুবই ভালো লেগেছে। এরপরে দেখতে পেলাম অন্য পাশে কয়েকটা কাপড়ের দোকান। যেখানে তাঁতের কাপড় রয়েছে।
তাঁতের কাপড় গুলো দেখতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। আবার তাঁতের থ্রি পিস গুলো দেখতে সুন্দর। আমার ইচ্ছে করছিল একটা তাঁতের থ্রি পিস নেওয়ার। কিন্তু আসলে জিনিসপত্র বেশি হয়ে যাবে বলে আর কেনা হয়নি। এরপরে আমি সবগুলো দোকানে একটু ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। আসলে কিনতে না পারলেও কিন্তু জিনিসপত্র গুলো দেখতেও ভীষণ ভালো লাগে। এইতো সবগুলো জিনিসপত্র দেখতে দেখতে বিকেল হয়ে গেল। আর ওদিকে খিদে পেয়ে গেল।
তার সাথে আবার দেখছিলাম এখানে কোন খাবারের রেস্টুরেন্ট আছে কিনা। কিন্তু এখানে সেরকম কোন কিছুই পেলাম না। সবার একেবারে ক্ষুধা লেগে গেল। এদিকে এই জায়গাগুলো খুব সুন্দর ভাবে দেখে তারপর আমরা আবারও গাড়িতে উঠে গেলাম ভালো একটা রেস্টুরেন্টের খোঁজে। কুষ্টিয়ার একটা জায়গায় গিয়ে আমরা একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম। সেখানে আমরা খাওয়া-দাওয়া করলাম। তখন প্রায় বিকেল হয়ে গেল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এরপর আমরা আবারও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1966357420713889826?t=JTxY-Do3jikdaaV-6mfZnw&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1967135749578588282?t=OqYTdjhGDcMgPJb4pyFZxg&s=19