১ ভ্রমণ :- ( কুষ্টিয়া ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। ( পর্ব ২ )

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

IMG-20250311-WA0024.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

আজকে আপনাদের মাঝে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ঘুরতে যাওয়া দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে আসলাম। আমরা যখন গেইটের সামনে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করছিলাম, তখন দেখি গেইটটা বন্ধ করে দিয়েছে। ওরা বলেছিল ৩০ মিনিট পর খুলবে। তখন আমরা কি করব ভেবে না পেয়ে পেছনের দিকে একটু হাঁটতে গেলাম। এই বাড়িটার চারপাশে কিন্তু অনেক বড় জায়গা রয়েছে। যেখানে রয়েছে প্রচুর গাছপালা দিয়ে ঘেরা। আর নিচে সবুজ ঘাসে ভরা। এই বাড়িটা সামনের দিকে দেখতে যেমন সুন্দর। তেমনি আবার একপাশ থেকে দেখতেও কিন্তু বাড়িটা খুবই সুন্দর।

IMG-20250311-WA0023.jpg

IMG-20250311-WA0025.jpg

আমি সামনে থেকে একটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম আবার এক পাশ থেকেও একটা ফটোগ্রাফি করেছি। দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। তাছাড়া হাঁটার রাস্তা গুলো খুবই সুন্দর ছিল। আমরা পেছনের দিকে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করছিলাম এমনকি চারপাশের পরিবেশ গুলো দেখছিলাম। সত্যি বলতে এই বাড়িটার চারপাশে খুবই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। যেটা দেখে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। চারপাশের পরিবেশটা বেশ ভালই উপভোগ করেছি। তবে আমাদের আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের আরো একজন সদস্য কাজী রায়হান ভাইয়া বলেছিল আমাদের সাথে দেখা করতে আসবে।

IMG-20250311-WA0026.jpg

IMG-20250311-WA0028.jpg

তখন তাকে এখানে আসতে বলেছিল। ভাইয়া তখন এখানে চলে এসেছিল। আমরা পিছনের দিকে যখন গিয়েছিলাম, তখন দেখি কাজি রায়হান ভাইয়া এসেছে। নতুন একজন সদস্যের সাথে দেখা করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে কখনোই মনে হয় না যে নতুন কারো সাথে দেখা হয়েছে। মনে হয়েছে যেন অনেক দিনের পরিচিত। সত্যি বলতে বাংলা ব্লগের জন্য এটা সম্ভব হয়েছে। তখন আমরা সবাই দাঁড়িয়ে ভাইয়ার সাথে একটা ছবি তুললাম। উনার সাথে কথা বলে বেশ ভালোই লেগেছে।

IMG-20250311-WA0027.jpg

IMG-20250311-WA0029.jpg

এরপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে সামনের দিকে আসতেছিলাম। দেখলাম পাশে একটা বড় পুকুর রয়েছে। এরপর আমরা পুকুরের পাশে দিয়ে হেঁটে আসতে ছিলাম। সেখানে দেখলাম পুকুরের মধ্যে অনেকগুলো হাঁস। আর অনেকেই আর গুলোকে চিপস খাওয়াচ্ছে। তখন এটা দেখে তো একেবারে অবাক হলাম। এরপর নাশিয়া কান্না করতে শুরু করল ওকে চিপস দেওয়ার জন্য। আর গুলোকে খাওয়াবে। আসলে আমার হাতেই একটা চিপস ছিল। তখন নাশিয়াকে চিপসটা দিয়েছিলাম।

IMG-20250311-WA0030.jpg

IMG-20250311-WA0031.jpg

ও তো হাঁস গুলোকে খাওয়ানো শুরু করল। চিপস হাঁসকে দেওয়ার সাথে সাথেই সব হাঁস গুলো একেবারে মজা করে খাচ্ছিল। এই দৃশ্যটা দেখতে পেয়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে আমি এর আগে কখনো হাঁসের চিপস খাওয়াটা দেখিনি। তাছাড়া সবগুলো হাঁস এক কালারের হওয়াতে দেখতে বেশ অসাধারণ লাগছিল। এভাবে সেখানে বেশ কিছুটা মুহূর্ত কাটিয়ে ফেললাম। আর এখানে সময় কাটাতে কাটাতেই ৩০ মিনিট কেটে গেল। পরবর্তীতে দেখলাম ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। ভেতরে গিয়ে কি কি দেখলাম সেটা পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আজকে এ পর্যন্তই।

IMG-20250311-WA0032.jpg

IMG-20250311-WA0033.jpg

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  
 4 months ago 

Screenshot_2025-03-15-11-39-40-95_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

Screenshot_2025-03-15-11-26-22-94_0b2fce7a16bf2b728d6ffa28c8d60efb.jpg

 4 months ago 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব পড়ে ভালো লাগলো। আমিও আজ কুঠিবাড়ি ভ্রমণের পর্ব শেয়ার করেছি। কুঠিবাড়ি বেশ শান্তিময় একটা জায়গা। সেখানে গিয়ে আপনারাও দেখছি দারুন সময় কাটিয়েছেন। লাঞ্চ টাইমে গেট বন্ধ করে দেয়। সে সময় দেখতে আরো বেশি শান্ত লাগে। গেট বন্ধ করে দেওয়ার পর আপনারা চারপাশে ঘোরাঘুরি করে চমৎকার কিছু পিকচার তুলেছেন দেখে ভালো লাগলো। ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত সুন্দর উপস্থাপনায় তুলে ধরেছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।

 4 months ago 

চেষ্টা করেছি ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করার জন্য।

 4 months ago 

সবাই মিলে রবীন্দ্রনাথ কুঠিবাড়িতে দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটা পরিবেশ। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো সেখানে যেতে ইচ্ছা করছে। নাশিয়া হাসগুলোর সাথে খুব সুন্দর খেলা করছে দেখলাম। সেখানে গিয়ে এই কমিউনিটির অনেকের সাথে দেখা করেছেন। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু। বাকি পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

 4 months ago 

আমাদের ভ্রমণের বাকি পর্বগুলো তাড়াতাড়ি শেয়ার করার চেষ্টা করবো।

 4 months ago 

রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ির মনোরম পরিবেশ আর আপনাদের দারুণ মুহূর্তগুলো দেখে সত্যিই মুগ্ধ হলাম।প্রকৃতির সৌন্দর্যে ঘেরা এই ঐতিহাসিক স্থান নিশ্চয়ই স্মৃতিময় হয়ে থাকবে। নাশিয়ার হাসিগুলো আর সবার সাথে মিলেমিশে কাটানো সময়গুলো সত্যিই প্রাণবন্ত লেগেছে।কমিউনিটির সবার সাথে দেখা করাও নিশ্চয়ই বিশেষ আনন্দের ছিল। সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু! পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 4 months ago 

ভ্রমণের এই পর্বটা পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

 4 months ago 

অও,দারুণ সময় পার করেছেন দেখছি কুঠিবাড়িতে।গাছের দৃশ্য ও রাস্তার দৃশ্যটি এতটাই মনোমুগ্ধকর লেগেছে আমার কাছে যে কী বলবো।যাইহোক আপু হাস চিপস খায় এটা প্রথম জানলাম ও দেখলাম।তাছাড়া কমিউনিটির অনেককে একসঙ্গে দেখে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 months ago 

আসলে নাশিয়া অনেক মজা করে খাওয়াচ্ছিল। তাই হাঁসগুলো ও মজা করে খেয়ে নিচ্ছিল।