ভ্রমণ :- লালন ফকিরের মাজার পরিদর্শন করার মুহূর্ত। ( পর্ব ২ )
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
গত পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম, লালন ফকিরের মাজারে কাটানো কিছুটা মুহূর্ত। আজকে এরপর এই মুহূর্তটা শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমরা মূলত জাদুঘরের প্রবেশ করার জন্য টিকিট কেটেছিলাম। তবে এর সামনের মুহূর্তেই অনেক বড় একটা লালন ফকিরের ছবি খুব সুন্দরভাবে নির্মাণ করা হয়েছে দেখলাম। এটা দেখেই আপনাদের ভাইয়া ছবি তুলে নিলো। কারণ লালন ফকির তার অনেক পছন্দের। এরপরে আমরা সামনের দিকে গিয়ে জাদুঘরের ভেতরে প্রবেশ করলাম।
প্রথমেই দেখতে পেলাম একটা কাঠের দরজা। যদিও লেখা ছিল এটা মূলত লালন ফকিরের ব্যবহার করা। আসলে এই দরজাটা অনেক পুরনো এটা দেখেই মনে হচ্ছে। তো আমি তো দেখেই আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ছবি তুলে নিলাম। এরপরেই দেখতে পেলাম একটা কাঠের ভাস্কর্য। এটা দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। সত্যি বলতে কাঠের যেকোনো কিছুই আমার অনেক পছন্দের। কিন্তু এই ভাস্কর্যটা দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি অসাধারণ লেগেছে। সামনাসামনি দেখতে এটা আরও বেশি সুন্দর। এখানে ছিল বেশ কয়েকটা ছবি লাগানো।
তারমধ্যে দেখতে পেলাম একটা ছবি, ছবিটা দেখেই আমি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তবে এখানে একটা অনেক বড় ডেগছি দেখতে পেলাম। যেটার নাম আসলে এখানে লেখাই রয়েছে। আবার এর মধ্যে দেখতে পেলাম কিছু টাকা-পয়সাও রয়েছে। যারা এখানে এসে দান করতে চায় তারা দান করতে পারবে এই জন্য মনে হয়। তবে এটাও বেশ পুরনো সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। পুরনো জিনিসপত্র দেখলে সত্যিই আলাদা একটা অভিজ্ঞতা তৈরি হয়।
আস্তে আস্তে পুরো জাদুঘরটা ঘুরে দেখতেছিলাম।
তবে এখানে দেখতে পেলাম অনেকগুলো পেইন্টিং যার মধ্যে গল্পের মত ছিল। আমি শুনেছি লালন ফকিরের জীবন এই একটা গল্প ছিল, মনে হচ্ছিল সেই গল্পটাকেই শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো। আসলে অনেকগুলো পেইন্টিং এর মাধ্যমে এটা উপস্থাপন করা হয়েছে যা দেখেই বোঝা যাবে এই পেইন্টিং এর পেছনে একটা সুন্দর গল্প রয়েছে। এটা মূলত লালন ফকিরের জীবন কাহিনী নিয়ে তৈরি। এই ছবিগুলো দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সত্যিই অনেক প্রাণবন্ত কিছু শিল্প-কর্ম।
এরপরে দেখতে পেলাম একটা জল চৌকি যেটাকে বলা হয়। এগুলো আমি অনেক আগে দেখেছিলাম আমাদের এখানে রয়েছে। তবে এখন আর দেখা যায় না। তবে এটা হচ্ছে লালন ফকিরের ব্যবহারকৃত একটা জল চৌকি। এটাও ছিল অনেক পুরনো সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তবে এখানে দেখতে পেলাম একটা একতারা। সামনাসামনি এরকম একতারা গুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর। তবে যেহেতু এটা অনেক পুরনো, তাই এটা দেখেও আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। যদিও এখানে আমরা আরো অনেক কিছু দেখেছি, সেগুলো শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে পরবর্তী পর্বে। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবার ও আসবো নতুন কিছু নিয়ে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1946022089938575777?t=4QHesi4NOZjtBEDg55nf_g&s=19
@tasonya, what a wonderful glimpse into your trip to the Lalon Fakir shrine in Kushtia! The photos really capture the beauty and serenity of the place. It's fascinating to read about your experience, especially how the architecture and atmosphere resonated with you, even if you weren't initially as keen on visiting as your husband was. Your photos of the Ek Tara monument are stunning, and it sounds like a truly special place for those who appreciate Lalon's music and philosophy. I'm eager to hear about what you discovered inside the museum! Thanks for sharing your journey with us – it's a reminder of the simple joys of travel and exploration. Keep sharing your adventures!
https://x.com/TASonya5/status/1946113915412484117?t=BCy9DVM2km3qshp1C_PgIg&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1946114753241415918?t=EyB-c5DVVxF9lFOJsHE3Nw&s=19
এ ধরনের জাদুঘর দেখতে যেতে বেশ ভালো লাগে। বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে জানা যায়। সেই সাথে জানা যায় বিভিন্ন ইতিহাস। আপনি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন জাদুঘরে। সেই সাথে বেশ কিছু ফটোগ্রাফিই শেয়ার করেছেন। লালন শাহর মাজারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে এরকম জাদুঘর দেখতে ভালো লাগে।
লালন ফকিরের মাজার পরিদর্শন করার দারুন কিছু মুহূর্ত তুলে ধরেছেন আপু। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে। এরকম জায়গা গুলোতে ভ্রমণ করতে ভালো লাগে।
আমার কাছে ঐদিন সত্যি খুব ভালো লেগেছিল।