ভ্রমণ :- প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে মেয়েকে নিয়ে কাটানো কিছুটা মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

সত্যি বলতে বর্তমানে অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটে। সারাদিন ঘরের মধ্যেই থাকতে হয় আর বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। একদমই সময় পাইনা বলতে গেলে। তবে আমি মনে করি মাঝেমধ্যে বাইরের প্রকৃতি দেখাটাও বেশ ভালো। আসলে শত ব্যস্ততার মধ্যে থাকলেও মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে একটু বাইরের সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সময় কাটাতে। এইতো কিছুদিন আগে পহেলা বৈশাখের সময় মেয়ের জন্য একটা ড্রেস তৈরি করেছিলাম। তবে দুর্ভাগ্যবশত পহেলা বৈশাখের দিন কোথাও যাওয়া হয়নি।

আসলে আমাদের এদিকে কোথায় মেলা হচ্ছিল এটাও জানা ছিল না তাই জন্য আর বের হয়নি। এদিকে নাশিয়া ড্রেসটা পরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেক বেশি কান্নাকাটি করছিল। তাই জন্য ভাবলাম ওকে নিয়ে কোথাও একটা ঘুরে আসি। যদিও আমাদের এখানে ঘুরতে যাওয়ার জায়গায় একেবারে নেই বললেই চলে। হাতে গোনা কয়েকটা জায়গা যেখানে আমরা বারবার ছুটে যাই। আর মাঝে মধ্যে কোন কিছু চিন্তা না করেই বের হয়ে যাই দেখা যাক কি হয়। তেমনি সেদিন আমরা রেডি হয়ে বের হয়ে গিয়েছিলাম বাইকে করে।

আমাদের চিন্তা ছিল গ্রামের রাস্তায় একটু ঘুরবো আর যদি নদীর পাড়ে যেতে পারি তাহলে তো আরো ভালো। তো সেই অনুসারে আমিও বের হয়ে গেলাম। আমরা প্রথমেই গ্রামের রাস্তা দিয়ে এমন একটা দূরে চলে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে একটা খুব সুন্দর নদীর পাড়ে গিয়ে পৌছালাম। এটাকে আমরা ছোট নদী বলে থাকি। এখানে বেশ কয়েকবার আসা হয়েছে। বিশেষ করে ভালো না লাগলে তখন আমরা এখানে আসি। এখানে আসার সাথে সাথে ইন নাশিয়া ছোটাছুটি করতে থাকে। জায়গাটা ওর অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে। আর এই জায়গায় বেশ আনন্দ করছিল।

তখন নাশিয়ার বেশ কয়েকটা ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা একটু সামনের দিকে যেতেই দেখলাম একটা নৌকা। নৌকাটা আসলে শুকনো একটা জায়গার মধ্যেই ছিল। নৌকাটা দেখার সাথে সাথেই নাশিয়া দৌড়ে গিয়ে নৌকায় উঠে বসে। তখনই আমি কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আসলে সে ফটোগ্রাফি করতে একেবারেই দিচ্ছিল না। অল্প একটু সময়ের মধ্যেই যা করতে পেরেছি। এদিকে কোথাও কিন্তু স্থির ভাবে দাঁড়াচ্ছিল না। একদিক থেকে একদিকে ছোটাছুটি করছিল। আমার নিজেরও এরকম জায়গায় এসে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

এরপরে দেখলাম খুব সুন্দর কিছু সুপারি গাছ। নাশিয়া দুইটা গাছের মাঝখানে দাঁড়িয়ে একটু কথা বলছিল। আর এদিকে আমি ফটোগ্রাফি করতে শুরু করি। আসলে সুযোগে যা ফটোগ্রাফি করতে পারি তাই আর কি। সে তো নিজের মতো করে কথা বলেই যাচ্ছে। তবে বাইরের এই চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে বেশ ভালই লেগেছে। একটা সময় কাটিয়ে অনেক স্থির একটা অনুভূতি হয়েছে। তারপর আমরা বেশ খানিকটা সময় কাটানোর পর আবারও বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দিলাম। তবে মুহূর্তটা এত বেশি ভালো লেগেছে ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আশা করে আজকের পুরো মুহূর্তটা আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি