মাদ্রিদের কষ্টের জয়!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
তিন মাস পরে আবার মাঠে ফিরেছে চ্যাম্পিয়ন লীগ। চ্যাম্পিয়ন লীগ হলো সবচাইতে জনপ্রিয় ফুটবল লীগ। ইউরোপের সবচাইতে শক্তিশালী দলগুলো এখানে খেলে থাকে। গতকাল শুরু হয়েছে চ্যাম্পিয়ন লীগের ২৫-২৬ সিজেনের খেলা। প্রথম দিনই ম্যাচ ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। আর রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ মিস করাটা ঠিক উচিত বলে মনে হয়নি। এইজন্যই ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। ম্যাচের ঘন্টাখানেক একাদশ দেখে নিলাম। ভিনিসিয়াস শুরুর একাদশে নেই। ভিনিসিয়াসের জায়গাই রয়েছে রদ্রিগো। রিয়াল মাদ্রিদ ৪-৩-৩ এর পরিচিত ফর্মেশনে মাঠে নামে। রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ ছিল ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক মার্সেই। মার্সেই মাঠে নামে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে।
মার্সেই ডিফেন্সিভ খেলার পরিকল্পনা করেই মাঠে নামে। এইজন্যই তারা ডাবল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার খেলিয়েছে। ম্যাচটা ছিল রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়্যাগো বার্নাব্যুতে। বাংলাদেশ সময় রাত ১ টাই খেলা শুরু হয়। ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই বেশ গতিশীল ফুটবল খেলছিল। ম্যাচের ৪ মিনিটের মাথায় পায়ে ব্যাথা অনুভব করে আর্নল্ড। এবং আর্নল্ড মাঠ থেকে উঠে যায়। মাঠে নামে কার্ভাহাল। যাইহোক খেলা চলতে থাকে। ম্যাচের প্রথম দিকে এমবাপ্পে দারুণ দুইটা সুযোগ পেয়ে যায়। যার মধ্যে একটা গোলকিপার সেভ দিয়ে দেয় এবং অন্যটা বাইরে যায়। অন্যদিকে অলিম্পিক মার্সেই আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু খুব একটা সুবিধা তারা করতে পারছিল না।
ম্যাচের তখন ২২ মিনিট গ্রিনউডের অ্যাসিস্টে গোল করে মার্সেই খেলোয়ার ওয়াআ। ০-১ গোলে এগিয়ে যায় মার্সেই। এ যেন পুরোপুরি নাটকীয় একটা ব্যাপার। গোল খাওয়ার পরে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের ২৯ মিনিটের সময় একটা পেনাল্টি পায় রিয়াল মাদ্রিদ। পেনাল্টি থেকে সফল স্পট কিক নিয়ে গোল করে ম্যাচে সমতা নিয়ে আসে কিলিয়ান এমবাপ্পে। প্রথমার্ধে আর কোন গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে নিজেদের খেলার ধরণ কিছুটা পরিবর্তন করে রিয়াল মাদ্রিদ। তারা নিজেদের মধ্যে পাস খেলছিল বেশি। ম্যাচের ৭২ মিনিটের সময় লাল কার্ড পায় দানি কার্ভাহাল। ১০ দলের দলে পরিণত হয় রিয়াল মাদ্রিদ। ফলে মার্সেই আক্রমণ বেশি করতে থাকে।
তবে ম্যাচের ৮১ মিনিটের সময় আবার একটা পেনাল্টি পায় রিয়াল মাদ্রিদ। পেনাল্টি থেকে গোল করে ২-১ গোলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। খেলা চলতে থাকে। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোন দল কোন গোল করতে পারেনি। ফলে ২-১ গোলের কষ্টের জো নিয়ে মাঠে ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। জয়টা কষ্টের হলেও সেটা হয়েছে প্রতিপক্ষের গোলকিপারের জন্য। পুরো ম্যাচের রিয়াল মাদ্রিদ ২৮ টা শর্ট নেয় প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে। কিন্তু গোলকিপার দারুণ সব সেভ দিয়ে দলকে ম্যাচে রেখেছিল। ২৮ টা এর মধ্যে ১৫ টা শর্ট ছিল একেবারে অন টার্গেট। যাইহোক প্রথম ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই সপ্তাহে আর কোন ম্যাচ নেই। তবে কার্ভাহালের লাল কার্ড এবং আর্নল্ড এর ইঞ্জুরির জন্য চিন্তাই থাকতে হবে। দলে আর কোন রাইট ব্যাক নেই। তবে আমাদের অল রাউন্ডার ভালভার্দে যখন আছে চিন্তা কিসের।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1968229245177696485?t=bLNFVDM81saFNA0ZtQn2ig&s=19
https://x.com/Emon423/status/1968229451466149945?t=qXoJSl7XuKJQ6fsZVoO2jg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1968229643229729130?t=VnfgTOHc5dpAu3p7lpZUcA&s=19