উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগ!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গতরাতে চ্যাম্পিয়ন লীগের রিয়াল মাদ্রিদ এবং জুভেন্টাসের ম্যাচ নিয়েই কথা বলবো। তবে তার আগে আরেকটা কথা বলা জরুরি। বছর বদলায় এক সিজেনের পর এক সিজেন আসে। ম্যাচের পর ম্যাচ বদলায়। টুর্নামেন্ট বদলায়। দলের অনেক খেলোয়ার ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে না। কিন্তু একটা জিনিস বদলায় না। সেটা হলো রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গোলকিপার থিবো কর্তোয়ার অসাধারণ সব সেভ। এখন পযর্ন্ত আমি দেখিনি থিবো কর্তোয়া কোন ম্যাচ খারাপ খেলেছে। প্রতি ম্যাচেই সে কিছু অসাধারণ সেভ দেয়। যাইহোক গতরাতে চ্যাম্পিয়ন লীগের ম্যাচে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ ছিল ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাস। যদিও জুভেন্টাসের সেই সোনালী সময় এখন আর নেই। টানা ৫ ম্যাচ তারা জয়হীনহীন রয়েছে।
ম্যাচ টা সান্তিয়্যাগো বার্নাব্যুতে। রিয়াল মাদ্রিদ ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে খেলতে নামে। এই ম্যাচেও রাইট ব্যাক পজিশনে খেলেছে ফেদে ভালভার্দে। কারণ দলের দুই রাইট ব্যাক আর্নল্ড এবং কার্ভাহাল ইঞ্জুরিতে। অন্যদিকে জুভেন্টাসের ফর্মেশন ছিল ৩-৪-৩। খেলাটা শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত একটার দিকে। ম্যাচের প্রথম দিকে জুভেন্টাস বেশ চাপের সৃষ্টি করছিল। বেশ কিছু আক্রমণ করলেও কোন লাভ হয়নি। কখনও মাদ্রিদ ডিফেন্ডারদের দারুণ ডিফেন্স আবার কখনও থিবো কর্তোয়া। প্রথমার্ধে রিয়াল মাদ্রিদ খুবই বাজে এবং অগোছালো ফুটবল খেলছিল। সেরকম কোন আক্রমণ করতে পারছিল না। ফলে একেবারে গোলশূণ্য থাকতে হয় প্রথমার্ধে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে যেন এ সবকিছুই পাল্টে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে বেশ গুছিয়ে খেলতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না। ম্যাচের তখন ৫৭ মিনিট চলছে। ডিবক্সের কিছু টা ভেতরে বল পায় ভিনিসিয়াস। তার সামনে চারজন জুভেন্টাস ডিফেন্ডার। চারজনকে বেশ কৌশলে বোকা বানিয়ে বলটা শর্ট করে ভিনিসিয়াস। কিন্তু বলটা গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়। তবে সে বল পেয়ে যায় জুড বেলিংহাম। সেখান থেকে গোল করে জুড বেলিংহাম। এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। এরপরে ম্যাচের পুরোটা সময় জুড়ে দারুণ সব আক্রমণ করে গিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। বিশেষ করে এমবাপ্পে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষ জুভেন্টাসের গোলকিপার অসাধারণ কিছু সেভ দেয়। ফলে দ্বিতীয় কোন গোলের দেখা পায়নি রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে অন্যদিকে মাদ্রিদের জন্য বেশ কিছু বিপদ তৈরি করে প্রতিপক্ষ জুভেন্টাস খেলোয়ার রা। বিশেষ করে দুইটা এমন সুযোগ পেয়ে যায় যেখান থেকে গোল হওয়া একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে একটা থিবো কর্তোআ সেভ দেয়। এবং অন্যটা সেভ দেয় ডিফেন্ডার রাহুল অ্যাসেনসিও। ম্যাচের একেবারে শেষ মূহূর্ত পযর্ন্ত এই চাপ অব্যাহত রাখে প্রতিপক্ষ জুভেন্টাসের খেলোয়ার রা। তবে এতে খুব একটা লাভ হয়নি। অবশেষে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এবং গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করে তারা। এই নিয়ে ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিল সবার উপরে আছে পিএসজি। সমান পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৫ এ রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী রবিবার রিয়াল মাদ্রিদের জন্য একটা বিশেষ পরীক্ষা রয়েছে। এ যেন একেবারে বাঁচা মরার লড়াই বার্সেলোনাথ সঙ্গে ম্যাচ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।












.png)


