ভিডিওগ্রাফি পোস্ট- অপরূপ পদ্মা নদীর দৃশ্যের ভিডিওগ্রাফি

in #videography26 days ago

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন প্রিয় বন্ধুরা আমার ? আর বলবো না ভালো নেই।যেমনই আছি বেশ ভালোই আছি। আর ভালো আছি বলেই সারাদিনের ব্যস্ততার পর বসে গেলাম আপনাদের জন্য একটি পোস্ট শেয়ার করতে। পোস্ট শেয়ার না করতে পারলে মনটাই যেন কেমন উরু উরু লাগে। তাই তো শত কষ্টের মাঝেও পোস্ট করা হতে বিরত থাকিনি। বিরত থাকিনি নিজের একটিভিটিজ ধরে রাখতে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নিজের আরও একটি ভালো লাগার পোস্ট শেয়ার করতে। দোয়া করবেন হাজারও ব্যস্ততার মাঝে আমি যেন আপনাদের সাথে থাকতে পারি।

আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত গর্বিত ইউজার। গর্বিত বলছি এই কারনে যে, আমার চেয়ে ভালো ভালো অনেক ক্রেয়েটিভ মানুষ আছে যারা এমন একটি প্লাটফর্ম খুঁজে বেড়াচ্ছে নিজেদের যোগ্যতাকে মেলে ধরার জন্য। অথচ আমি কত ক্ষুদ্র একজন ইউজার, যার নেই তেমন ক্রেয়েটিভিটি। তবুও আমি এমন সুন্দর একটি প্লাটফর্মের একজন ভেরিফাইড ইউজার। তাই তো শত ব্যস্ততার মাঝেও আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন এবং ভিন্ন কিছু পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হতে। তাই তো আজ আবার একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম।

মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে গেলে কিন্তু মন্দ হয় না । কারন কোথাও ঘুরতে গেলে মনের সাথে সাথে দেহেও ফিরে আমে প্রাণ চঞ্চলতা আর সতেজতা। তাই তো মাঝে মাঝে ঘুরতে যেতে চেষ্টা করি। আর এই কারনেই মাঝে মাঝে চেষ্টা করি একটু ঘুরে বেড়াতে। আর এই কারনেই আজ কদিন যাবৎ খুব ভোরে একটু প্রকৃতির মাঝে ঘুরাঘুরি করি।তে। বেশকিছুদিন আগে গিয়েছিলাম মাওয়া ঘাটে পদ্মার ‍নদী দেখার জন্য। বেশ কিছু বিভিওগ্রাফিও করেছি যার কিছুটা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে ‍চাচ্ছি।

1.png

অপরূপ পদ্মা নদীর দৃশ্যের ভিডিওগ্রাফি

WhatsApp Image 2025-

মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে গেলে কিন্তু সত্যিই মন্দ হয় না। প্রতিদিনের ব্যস্ততা, দৌড়ঝাঁপ, একই রকম রুটিনের মাঝে মন যেন ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সেই ক্লান্ত মনকে নতুন করে জাগিয়ে তুলতে দরকার হয় ভিন্ন কোনো পরিবেশ, দরকার হয় প্রকৃতির ছোঁয়া। কারণ কোথাও ঘুরতে গেলে শুধু যে মনের প্রশান্তি মেলে তা নয়, শরীরও সতেজ হয়ে ওঠে। মনে হয় আবারও নতুন করে শুরু করার শক্তি ফিরে পেয়েছি। তাই তো আমি যখনই সুযোগ পাই, চেষ্টা করি একটু বাইরে বের হতে। নিজের ভেতরের চাপা দুঃখ কিংবা ক্লান্তি গুলো যেন বাতাসে মিলিয়ে যায়, আর মন ভরে ওঠে নতুন এক প্রাণচঞ্চলতায়।


3.jpg

এই কারণেই আমি মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করি। কখনও একা, কখনও পরিবারের সঙ্গে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে। ঘুরতে গেলে যে আনন্দটা মেলে তা ভোলার নয়। জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলো আসলে এই ভ্রমণেই জমা হয়। ছবির মতো কিছু স্মৃতি থেকে যায়, যা পরে মন খারাপের দিনে আবার ভরসা যোগায়। তাই চেষ্টা করি সময় বের করে হলেও প্রকৃতির কাছে কিছুটা সময় কাটাতে। এই অভ্যাসটা আমার অনেকটা ভেতরের শান্তির উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন যাবত আমি চেষ্টা করছি ভোরবেলায় বের হতে। শহরের কোলাহল তখনও পুরোপুরি শুরু হয়নি। রাস্তায় মানুষের ভিড় নেই, গাড়ির শব্দ নেই। শুধু থাকে হালকা সকালের বাতাস আর পাখির কিচিরমিচির। সেই ভোরবেলায় হাঁটতে বের হওয়া বা নদীর ধারে বসে থাকা, সত্যিই মনকে এক অন্যরকম প্রশান্তি দেয়। মনে হয়, সারাদিনের শক্তি এই সকালের কিছু মুহূর্ত থেকেই পেয়ে যাচ্ছি। শহরের ভিড় থেকে সামান্য দূরে গেলেই প্রকৃতির আসল রূপটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

WhatsApp Image 2025-

কিছুদিন আগে আমি গিয়েছিলাম মাওয়া ঘাটে। পদ্মার নাম তো আমরা সবাই জানি, তবে কাছ থেকে পদ্মাকে দেখা, তার বিশাল বিস্তারকে অনুভব করা—এ এক অন্য অভিজ্ঞতা। ছোটবেলায় বইয়ে বা টেলিভিশনে নদীর সৌন্দর্য দেখেছি, কিন্তু সরাসরি পদ্মার তীরে দাঁড়িয়ে তার গর্জন শোনা, তার ঢেউয়ের খেলা দেখা, সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। নদীর বুকে তখন মাঝেমধ্যে নৌকা চলছিল, জেলেরা মাছ ধরছিল। তাদের জালের ভাঁজে রোদ পড়ে ঝিকমিক করছিল, আর দূরে দূরে কিছু নৌকা যেন ছবির মতো ভেসে যাচ্ছিল। সেদিনের সকালের পরিবেশ ছিল অসাধারণ। সেই মেঘের ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো নদীর জলে প্রতিফলিত হয়ে এক অদ্ভুত দৃশ্য সৃষ্টি করছিল। মনে হচ্ছিল, নদীর বুকজুড়ে যেন সোনালি আভা ছড়িয়ে পড়েছে। হাওয়ায় ছিল হালকা শীতলতা, যা শরীর-মনে অদ্ভুত এক সতেজতা এনে দিয়েছিল। মনে হচ্ছিল, প্রকৃতি যেন তার সমস্ত সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে আমাদের জন্য।

2.jpg

আমি শুধু নদী দেখিনি, কিছু ভিডিওগ্রাফিও করেছি। আসলে এই দৃশ্যগুলো এতটাই সুন্দর ছিল যে শুধু চোখে দেখা যথেষ্ট নয়, মনে হচ্ছিল ক্যামেরার লেন্সে বন্দি করে রাখতে হবে। পরে যখনই দেখব, আবার সেই দিনের অনুভূতি ফিরে আসবে। নদীর ঢেউ, মাঝির ডাক, বাতাসে ভেসে আসা নদীর গন্ধ—এসব কিছুই ভিডিওতে ধরা পড়েছে। যদিও ক্যামেরা পুরো অনুভূতিটা তুলে ধরতে পারে না, তবুও এটা অন্তত স্মৃতিকে ধরে রাখার একটি উপায়। পদ্মার তীরে দাঁড়িয়ে আমি ভেবেছিলাম, নদীর মতো জীবনও কি এমন নয়? কখনও শান্ত, কখনও উত্তাল। কখনও মনে হয় সব কিছু স্থির, আবার কখনও হঠাৎ ঝড়ে সব কিছু উল্টে যায়। তবুও নদী কিন্তু থেমে থাকে না, তার প্রবাহ চলতে থাকে। আমাদের জীবনও ঠিক তেমন। যত কষ্ট, দুঃখ কিংবা বাধা আসুক, এগিয়ে যেতে হয়। নদীর কাছ থেকে আমি এই শিক্ষা যেন আবারও নতুন করে পেলাম।

মাওয়া ঘাটে মানুষের ভিড়ও কম ছিল না। অনেকেই পরিবার নিয়ে এসেছিল, কেউ ছবি তুলছিল, কেউ নদীর ধারে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। শিশুদের আনন্দ ছিল দেখার মতো। তারা দৌড়াচ্ছিল, নদীর ধারে খেলছিল, কেউবা ছোট্ট নৌকায় উঠতে চাইছিল। তাদের হাসি-খুশি মুখ দেখে মনে হচ্ছিল, আনন্দ আসলে খুব সহজ, শুধু প্রকৃতির সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোই যথেষ্ট। সেদিন আমি কিছুক্ষণ একা বসেও নদীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। চারপাশে এত মানুষ, তবুও সেই বিশাল নদীর কাছে নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, আমরা মানুষ কত ক্ষুদ্র, অথচ অহংকারে ভরা। প্রকৃতির এই বিশালতার সামনে দাঁড়ালে মানুষ নিজের সীমাবদ্ধতাকে বুঝতে পারে। আমি ভেতরে ভেতরে খুব শান্তি অনুভব করছিলাম। মনে হচ্ছিল, সমস্ত দুঃশ্চিন্তা পদ্মার ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে যাচ্ছে।

WhatsApp Image 2025-

পরে আমি হাঁটতে হাঁটতে ঘাটের আশেপাশের গ্রামগুলোও কিছুটা দেখেছিলাম। সেখানে মানুষজন সরল, প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকা জীবন যাপন করছে। তাদের মুখে ছিল সহজ-সরল হাসি। আধুনিক শহরের মতো কোলাহল নেই, প্রতিযোগিতা নেই। অথচ তাদের জীবন কত সুন্দর! এই দৃশ্যগুলো আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে গিয়েছিল। ভ্রমণের আসল আনন্দই হলো নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা। মাওয়া ঘাটে সেই অভিজ্ঞতা আমি পেয়েছি। শুধু নদী দেখা নয়, বরং মানুষের জীবনধারা, প্রকৃতির সৌন্দর্য আর নিজের ভেতরের প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া—সবকিছু মিলে ভ্রমণটা আমার কাছে ছিল এক অসাধারণ স্মৃতি। ফিরে আসার পরও সেই দিনের স্মৃতি আমাকে বারবার টেনে নিয়ে যায়। যখনই ভিডিওগুলো দেখি বা ছবি দেখি, মনে হয় আবারও সেই সকালের পরিবেশে ফিরে গেছি। আসলে জীবনের আসল সুখ এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোতেই লুকিয়ে থাকে। বড় কোনো আয়োজন, দামি কিছু কিংবা দূরের ভ্রমণ না, কাছের কোনো নদীর ধারে গিয়েও মানুষ তার সুখ খুঁজে নিতে পারে।

অপরূপ পদ্মা নদীর দৃশ্যের ভিডিওগ্রাফি লিংক

পোস্টের বিবরন
পোস্টের ধরনভিডিওগ্রাফি পোস্ট
ডিভাইসVIVO
মডেলVIVO-Y22S
ভিডিওগ্রাফার@maksudakawsar
স্থানলেীহজং,মুন্সীগঞ্জ

শেষ কথা

মাঝে মাঝে প্রকৃতির এমন সুন্দর দৃশ্য দেখে ভিডিওগ্রাফি করার জন্য নিজের হাত কে নিজে থামিয়ে রাখতে পারি না। আর পারবোই বা কিভাবে? এমন দারুন দৃশ্য দেখলে কি আর মোবাইল ক্যামেরা চুপ থাকতে পারে?

আমার পরিচিতি

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeF5StuMqDPqgYjRhUxqFbXTvH2r2mDgNbWweA4YGBo825oLh4oqEqeynn5EZL11LdCrppngkM (1).gif

VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

1000206266.png

1000206267.png

❤️❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️❤️