হাই!
বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি ভিডিও পোস্ট। আজকের ভিডিওর মাধ্যমে জানতে পারবেন এবং দেখতে পারবেন পুকুরপাড়ের কলাবাগান থেকে কলা বিক্রয়ের দৃশ্য। তাহলে চলুন ভিডিওটি প্লে করি।

আপনাদের পূর্বে ধারণা রয়েছে যে আমাদের অঞ্চলটা পুকুরে পরিপূর্ণ। বেশিরভাগ মাঠ এর জায়গা গুলো পুকুরের রূপান্তর করা হয়েছে। কারণ এখানে কৃষি জমি বর্ষার সময় ডুবে থাকতো। ভালো ফসল হতো না অতিরিক্ত বৃষ্টির পানির কারণে। এজন্য দিনের দিন এলাকার ফসলের জমিগুলো পুকুরে রূপান্তর করা হয়েছে। আর এই জন্য এখানে ফসলের কেমন জমি নেই বললেই চলে। আমরা বাইরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারি মাঠ কে মাঠ সারা বছর ধরে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হয়। কিন্তু আমাদের এদিকে শুধুমাত্র পুকুর আর পুকুর। অল্প যদি থেকে থাকে ধানের জমি। তবে তার সীমিত মানুষের। তবে যাই হোক আমাদের এখানে বেশিরভাগ মানুষ চেষ্টা করে পুকুর পাড়ে বিভিন্ন শাকসবজি ও ফল উৎপাদন করতে। ঠিক তেমনি আমাদের পাশের বড় চাচারা সারা পুকুর জুড়ে পাকা কলার গাছ লাগিয়েছিলেন। ঠিক এমনই একটা দিন আমি সকালবেলায় পুকুরে মাছের খাবার দিতে যাচ্ছিলাম। দেখলাম চাচাদের পাকা কলা কিনতে এসেছে বাইরে থেকে কিছু ব্যবসায়িক। ঠিক এই মুহূর্তে আমি মাছের খাবার দেয়া শেষ করে যখন বাড়ি ফিরছিলাম ওই মুহূর্তে ভাবলাম সুন্দর একটি ভিডিও ধারণ করি। ওই মুহূর্তে আমার কোন চাচা পুকুর পাড়ে উপস্থিত ছিল না। তাই কলার দাম হিসাব করে নিতে হবে আমাদের বড় দাদিকে। তবে আমাকে দেখার পর ব্যবসিকরা একটু স্বস্তি পেলেন এজন্য যে, মুরুব্বী মানুষের হাতে টাকা হিসাব করে দিয়ে যাব না জানি হারিয়ে ফেলেছি। আমি উনাদের নিশ্চিত করে বললাম ভাই আপনারা আপনাদের কাজ করুন এরপর হিসাব করুন আমি টাকা গুনে বড় দাদির হাতে দিয়ে দিচ্ছি, তাহলে আপনারা তো নিশ্চিত হবেন। তারা আমার কথা শুনে খুশি হলেন। তারা তাদের কাজ শুরু থেকে শেষ করার চেষ্টা করল। আর এরই মধ্যে আমি তাদের কার্যক্রম ভিডিও ধারণ করতে থাকলাম।
Video device: Huawei P30 Pro-40mp
Jugirgofa
আমি তাদের কাছে জানতে চাইলাম তাদের বাসা কোথায়। তারা বললো জীবননগর থানায় তাদের বাসা। তারা সকাল ভোরে বের হয়েছে। আমাদের এলাকায় কলা কিনতে আসে। তারা প্রত্যেকদিন মেহেরপুর এলাকার বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত হয়ে কলাকে নিয়ে যায়। এরপর বেশ অনেক কথাই হলো তাদের সাথে। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় ছিল। মাত্র কুড়িটা পাকা কলার কাইন ছিল। আড়াইশো টাকা পিস। এতে পাঁচ হাজার টাকা হয়ে গেল। এদিকে পুকুর পাড়ে আরো এক থেকে দেড়শ কলার কাইন থাকলো। খুব সহজেই হিসাব করে টাকা দাদির হাত ধরিয়ে দিলাম। এরপর ব্যবসিকেরা বলেন ভাই অনেক সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়তো এই জন্যই আপনাম মাধ্যমে টাকাটা দিলাম। তখন আমি বললাম ভাই চিন্তা করবেন না আমাদের দাদি শিক্ষিত মানুষ। তুমি হিসাব কিতাব সব কিছু বোঝেন। এরপরে যদি আসেন তাহলে নিশ্চিন্তে নিয়ে যাবেন এবং টাকা দিয়ে যাবেন। তবে তাদের কাছে জানতে চাইলাম ভাই এই সমস্ত কলা গুলো কোথায় নিয়ে যাবেন আপনারা। উনারা উত্তর দিলেন যশোর অথবা ঢাকাতে এই কলা চলে যায়। উনাদের কথা শুনে সত্যি আশ্চর্য হলাম। সামান্য এই কলাগুলোর মধ্যে কতজনার রিযিক রয়েছে এবং লাভ রয়েছে।



Photography device: Huawei P30 Pro-40mp
Jugirgofa
ভিডিও বিষয়ক | তথ্য |
ভিডিও ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ভিডিও ম্যান | @sumon09 |
Editing app | PicsArt & inshot |
YouTube channel | সোর্স |
বিষয় | পুকুর পাড়ের কলা বিক্রয় |
আমার বাংলা ব্লগের সদস্য,সুমন। থানাঃ গাংনী, গাংনী-মেহেরপুর বাংলাদেশ। দৈনন্দিন জীবনে আমার পথ চলার প্রতিপাদ্য বিষয়: সততা সচেতনতা সাহসিকতা যার মধ্যে ন্যায় নীতি নিহিত।
ভিডিও দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |

পুকুরে একদিকে মাছ চাষ করে যেমন স্বাবলম্বী হওয়া যায়। ঠিক তেমনি পুকুর পাড়ে কলা গাছ লাগিয়েও নিজের বাড়তি আয় করা সম্ভব। আপনি আজকে পুকুরপাড়ে কলাগাছ বিক্রি করা সুন্দর একটি ভিডিও করেছেন। এবং এই ভিডিওটি আপনি আপনাদের শেয়ার করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার এই ভিডিওটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার। কলা বিক্রয়ের ঐদিন আমরাও পুকুরেছিলাম। আসলে আমাদের এখানে পুকুরপাড়ে এক্সট্রা হিসাবে শাকসবজি আর কলা উৎপাদন করা হয়। এটা কিন্তু এক্সট্রা বাড়তি লাভ। আমাদেরও পাকা ও কাচা কলা রয়েছে পুকুরে। এ থেকে কমবেশি যাই খাওয়া হোক না কেন তাতেই লাভ।
হ্যাঁ বাড়তি লাভ এখানে
ভাই, আপনার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম আপনার বড় চাচা পুকুর পাড়ে বেশ সুন্দর কলার গাছ লাগিয়েছে। নিঃসন্দেহে এই কলার গাছ থেকে কলা বিক্রি করে বাড়তি টাকা ইনকাম হবে। আমাদের এদিকে অবশ্য পুকুর পাড়ে এমন সুন্দর করে কলার গাছ কেউ লাগায় না। তাই আপনাদের সুন্দর ও অভিনব এই পদ্ধতি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর আপনার দাদিতো দেখছি অনেকগুলো কলা বিক্রি করে বেশ ভালো টাকা উপার্জন করেছে। সবমিলিয়ে খুব সুন্দর ভিডিওগ্রাফি উপস্থাপন করেছেন ভাই, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হ্যাঁ ভাই প্রতিনিয়ত হচ্ছে
ভাইয়া আপনাদের দেশের সেই কলাই আমাদের এখানে আসে। আপনারা কাইন আড়াইশো টাকা বিক্রয় করলেও সেটা আমাদের এখানে আসতে আসতে ছয়শো সাতশো টাকা হয়ে যায়। অথচ মূল মালিক তার দাম পায় না। বাংলাদেশের সব ক্ষেত্রেই এমন। হাত বদল হলেই পন্যের দাম দুই তিন গুন বেড়ে যায়। ধন্যবাদ।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
অনেকদিন ধরে আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারছি আপনি পুকুর পাড়ে নানা রকম ফল ও সবজি চাষ করে আসছেন। আজকে আপনি আমার আমাদের মাঝে পুকুরপাড়ের কলা বিক্রয়ের ভিডিও গ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কলা বিক্রি করে আপনি অনেকগুলো টাকা হাতে পেয়েছেন। নিজের কোন কিছু তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করে টাকা পেলে খুব বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ পাঁচ হাজার টাকা হয়েছিল।
অনেক টাকা তো ভাই। কলার কাদি কত টাকা করে বিক্রি করেছেন?