শেকড়!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
শেকড় কে ভুলে গিয়ে কেউ কখনও বড় হতে পারে না। যারা নিজের শেকড় কে অস্বীকার করে তারা কখনোই ভালো কিছু করতেও পারে না। মানুষ তার শেকড়ে ফিরে যেতে পছন্দ করে। তেমনই গ্রাম হলো দেশের শিকড়। প্রতিটা মানুষ এই গ্রাম থেকেই উঠে এসেছে। নিজের জীবনের প্রয়োজনে হয়তো দেশে বিদেশে ভিন্ন শহরে মানুষ কে থাকতে হয়। কিন্তু সে নিজের শেকড় কে কখনোই ভুলতে পারে না। সময় সুযোগ হলে ঠিকই ফিরে যায় নিজের গ্রামে। যেখানে সে বেড়ে উঠেছে ছোট থেকে। আজ এসব কথা বলার কারণ অবশ্য রয়েছে। ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরেছি প্রায় ১২ দিন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও যেন মনকে ঐভাবে স্থির করতে পারিনি কোনভাবেই। এখনও আমার মন ঐ আমার গ্রামেই পড়ে রয়েছে।
যেদিন বাড়ি থেকে আসছিলাম বেশ খারাপ লাগছিল। না এই খারাপ লাগাটা এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। প্রতিবারই এমন মনে হয়। আমার জীবনের ২২ টা বসন্ত অতিবাহিত করেছি এই গ্রামে। সুতরাং অসুবিধা তো হবেই। এটা একেবারে অন্যরকম এক জায়গা। যেখানে সকাল টা শুরু হয় পাখির কিচিরমিচির শব্দতে। ঘুম থেকে উঠে মাঠ পানে তাকালে দেখা যায় ফসলের চমৎকার হাসি। মাঠে কৃষকের ছুটে চলা। সে এক অন্যরকম ব্যস্ততা তাদের। সন্ধ্যা নামতেই শান্ত হতে শুরু করে গ্রামটা। মানুষের পদচারণা কমতে থাকে। রাস্তাটা একেবারে জনশূণ্য হয়ে যায়। রাত ১০ টা শহরে কোন রাত না। কিন্তু আমার গ্রামে ঐ সময় বাইরে হাঁটলেও কারো দেখা পাওয়া যায় না। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে সব শান্ত হয়ে যায়।
এবার বাড়িতে গিয়ে ফোনটা ঐভাবে ধরার সময় পাইনি। সত্যি বলতে ফোন থেকে দূরেই ছিলাম। সময় টা কেটেছে গ্রামের বন্ধুদের সাথে পরিবারের সাথে। শহরের বাতাসে যেখানে ধুলাবালির মাখামাখি। বাইরে থেকে ফিরলেই যেখানে গোসল করতে হয়। সেখানে একেবারে ভিন্ন গল্প আমাদের গ্রামের। এতো সুন্দর নির্মল বাতাস যেটা আপনার শরীর এসে লাগলেই শরীর টা চনমনে হয়ে উঠবে। আপনার জীবনীশক্তি বেড়ে যাবে বহুগুণে। বিকেলে আপনি যখন মাঠে গিয়ে বসবেন বাতাসে ফসলের যে দোল সেটা দেখে আপনার প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। আবার যখন বৃষ্টি শুরু হবে মূহূর্তেই পরিবেশের পরিবর্তন। সে এক চমৎকার জায়গা। আপনাকে মুগ্ধ হতেই হবে। চাইলেও আপনি এগুলো উপেক্ষা করতে পারবেন না।
কথাগুলো বললাম আমার গ্রামের আলোকে। আমি জানি বাংলাদেশের ৮৭ হাজার গ্রামের চিএ অনেক টা এটাই। অন্তত ছোট থেকে যারা গ্রামে বেড়ে উঠেছে তার এটা খুব ভালোই জানে। বলতে পারেন এই এক বছর ঢাকা থেকেই আমি হাফিয়ে উঠেছি। আমার চাওয়া এখন গ্রামে ফিরে যাওয়া। ওখানে নিয়ে নতুন কোন কিছু শুরু করা। হয়তো শহরের মতো সব সুবিধা পাওয়া যাবে না। সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট পাওয়া যাবে না। কিন্তু ওখানে ভালো থাকা যাবে। বাঁচার পুরো আনন্দ পাওয়া যাবে। যেই আনন্দ টা এখানে একেবারে শূন্য। ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ মূলত বাধ্য হয়েই এখানে থাকে। না হলে এমন বাজে শহর যে কীভাবে রাজধানী হয় সেটা আমার জানা নেই।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1938169900356587696?t=krJhrPuUn2beary7MVX20A&s=19
https://x.com/Emon423/status/1938170067260412307?t=VwyhY1TuaQWtTyiumEnPfw&s=19