অপচয়( পর্ব: ০১ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ছোটবেলা থেকে খুব ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম না। তবে মোটামুটি একটা পজিশন স্কুলে আমার ছিল। আমি তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। আমাদের ঐ সেকশনের ছাএরা অন্য শাখার ছাএদের তুলনায় দূর্বল। তবে সবার মাঝে ব্যতিক্রম ছিল আলিফ। আলিফ বরাবরই ভালো ছাএ ছিল। যথারীতি ওর সাথে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করি। বন্ধু হলেও ঐভাবে কখনোই ওর একেবারে নিকট বন্ধু আমি হতে পারিনি। তবে আলিফ ছিল ভালো স্টুডেন্ট। ক্লাসের সব স্যার ওকে বেশ স্নেহ করতেন। এর আরেকটা কারণ ছিল আলিফের বাবা ছিল না। অনেক আগে আলিফ তার বাবাকে হারায়। আলিফ এবং ওর মা থাকত ওর বাবার বাড়িতে । আলিফের দাদার বেশ ভালো সম্পত্তি ছিল। কিন্তু সেটা আলিফের বাবা হয়ে আলিফ পযর্ন্ত আসার পূর্বেই ওর বাবা মারা যায়। এইজন্যই ছেলেটা ছোট থেকে বেশ অর্থকষ্টে মানুষ হয়েছে।
তবে আলিফ ছিল বেশ উচ্চাকাঙ্খার ছেলে। আমি আলিফ সহ আমাদের অনেক ফ্রেন্ড একসঙ্গে আমরা আমাদের স্কুলের এক স্যারের কাছে টিউশন পড়তাম। ২০১৬ তে আমরা যখন অষ্ঠম শ্রেণিতে পড়ি। নতুন বছরে স্যারের টিউশনিতে এক মেয়ের আগমন হয়। আমাদের কাছে এটা ছিল তীব্র গরমে বর্ষার মতো। কারণ আমরা বয়েজ স্কুলে পড়তাম ক্লাস টিউশন কোথাও মেয়ে ছিল না। বুঝতেই পারছেন কথাটা কেন বললাম।। মেয়েটার নাম ছিল নিপা। তখন আমাদের সবারই এমন একটা বয়স চলছে যখন ভুল করাটা যেন অবধারিত। তবে সেই ভুল করায় সবার থেকে এগিয়ে গেল আলিফ। আলিফের সাথে একটা গভীর সম্পর্ক হয়ে গেল নিপার।
আমরা বন্ধুরা ব্যাপার টা জানলেও নিপার মা অথবা স্যার কেউ জানতো না। কয়েক দিনের মধ্যেই আমাদের টিউশন স্যারের নজরে আসে বিষয়টি। স্যার আলিফ কে সাবধান করে এবং বোঝায়। এখন এগুলোতে জড়ানো মানে তোমার ক্যারিয়ার শেষ । কিন্তু আলিফ স্যারের কথা শোনে না। উল্টা স্যারের কাছে পড়া বন্ধ করে দেয় আলিফ। এর কয়েকমাস পরে নিপার পরিবারে ঘটনা টা জানাজানি হয়ে যায়। নিপার মা নিপাকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসে। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় দুজনের। আলিফ এবং নিপার প্রেমকাহিনীর সমাপ্তি ওখানেই।
শুরু হয় আমাদের অষ্ঠম শ্রেণি বোর্ড পরীক্ষা। পুরো বছর আলিফ নিপাকে নিয়ে ভেবে কাটিয়েছে লেখাপড়া ঐভাবে করেনি। কিন্তু বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্ট যখন দিল আলিফ ভালো ফলাফল করেছে। তবে সে জিপিএ ৫ পাইনি অল্পের জন্য। আলিফ স্যারের কাছে গিয়ে ভুল স্বীকার করে। যথারীতি স্যারও ওকে ভেঙে পড়তে নিষেধ করে।
নবম শ্রেণিতে আমরা সবাই একই ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়। যেখানে আলিফের রোল ছিল ৬ লিখেনের ৭ এবং আমার ৮। আমার আলিফের এবং লিখনের একটা বন্ধুত্ব নতুন করে তৈরি হয়। প্রতিদিন একসঙ্গে বসে ক্লাস করা একইসঙ্গে স্যারের কাছে টিউশনি করা। সবমিলিয়ে বেশ কাটছিল আমাদের বন্ধুত্বের দিনগুলো। এরই মধ্যে শুরু হয় নতুন ঝামেলা। আলিফের বাবা না থাকায় তার সম্পত্তি তার মা এবং সে পাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আলিফের দাদি এবং চাচারা সেই সম্পত্তি দিতে নারাজ। এবং ওদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। নিজের বাড়ি ছাড়া হয়ে আলিফরা কুমারখালী শহরের মধ্যে বাসা ভাড়া থাকতে শুরু করে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।