তারাপীঠ ভ্রমণ ও ফটোগ্রাফি পর্ব ৩
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি তারাপীঠ ভ্রমণের তৃতীয় পর্বটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি, তৃতীয় ভ্রমণ পর্বটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হোটেলের রুমে এসে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিলাম। কারণ এরপর আমরা মুলুটি ঝাড়খন্ড গ্ৰামে ৭৫ একটির বেশি শিব মন্দির দেখার উদ্দেশ্যে বের হব। ৪৫ মিনিটের মতন বিশ্রাম নেওয়ার পর আমরা ফ্রেশ হয়ে তৈরি হয়ে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। তারাপীঠ থেকে মুলুটি ঝাড়খন্ড গ্রামে যেতে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। যেহেতু অপরিচিত জায়গায় আমরা ভ্রমন করতে চলেছি তার জন্য আগে থেকে বাইকে ফুল ট্যাংক তেল নিয়ে নিলাম। মুলুটি ঝাড়খন্ড গ্ৰামে ৭৫ টির বেশি শিব মন্দির দেখতে যাওয়ার পথে একটি শক্তি পিটের সন্ধান আমরা পেলাম। এই মন্দিরটি সতী মায়ের মন্দির কিন্তু আমরা যখন এই মন্দিরে এসে পৌছাই তখন মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আর এই মন্দিরের ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল তার জন্য কোন রকম ছবি আমি তুলতে পারলাম না। যাইহোক, মন্দিরে প্রণাম করে বাইরে একটি চায়ের দোকানে চা খেলাম এবং সঙ্গে জল নিলাম। এরপর আমরা আবারো পথ চলতে শুরু করলাম। আমরা গ্রামের পথ বেয়ে যাচ্ছিলাম এবং সেই সঙ্গে গ্রামের সৌন্দর্যকে ও ভালোভাবে উপভোগ করছিলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:০৪.০৯.২০২৫
সময়:০১.৩৫ মিনিট
স্থান: তারাপীঠ
গ্রামের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে আমরা চলতে লাগলাম।গ্রামের পথ বেয়ে চলতে চলতে আমরা এমন একটি গ্রামে এসে পৌঁছালাম যেখানে কিনা এখনো পর্যন্ত রাস্তা তৈরি হয়নি। এই গ্রামের মানুষ গরু গাড়িতে চলাচল করে যেটি আমার কাছে খুবই অবাক লেগেছে। আমরা সেই গ্রামের মাটির রাস্তা দিয়ে চলতে শুরু করলাম। আবার আকাশে কালো মেঘ জমেছে ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টি পড়ছে। মাটির রাস্তাতে বৃষ্টির জল পড়াতে মাটির রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে গেছে।আমাদের গাড়ি চালাতে খুবই অসুবিধা হচ্ছিল। এখানে মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম ভালো রাস্তায় উঠতে অন্য কোন রাস্তা আছে কিনা। কিন্তু তারা আমাদের চাপ জানিয়ে দিল এই মাটির রাস্তা ছাড়া আর কোন রাস্তা নাই। আমাদের কাছে কোন অপশন না থাকার কারণে এই পথ বেয়ে চলতে শুরু করলাম।
ঝাড়খন্ড জঙ্গলের কথা কমবেশি অনেকেই শুনে থাকবেন। আমরা কিন্তু সেই জঙ্গলের ভেতরের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। আকাশে কালো মেঘের কারণে চারিপাশ অন্ধকারে পরিণত হয়েছে আর সেইসঙ্গে অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে। জঙ্গলের ভিতর থেকে যাওয়ার সময় আমাদের ভয় কাজ করছিল। ভয় হওয়াটা স্বাভাবিক অপরিচিত জায়গা আরও যদি হয় জঙ্গল আর আমরা তো সবাই জানি অন্ধকার জঙ্গল কতটা ভয়ংকর হতে পারে। আমরা নিজেদের ভেতর আলোচনা করলাম যে কোন অবস্থাতে গাড়ি বন্ধ করা যাবে না। জঙ্গলের ভেতর প্রায় 30 মিনিট বাইক চালানোর পর দেখা পেলাম মানুষের বসত বাড়ি। মানুষের বসতবাড়ি দেখে নিজেদের মনের ভিতর সাহসটা আবার ফিরে পেলাম। সত্যি কথা বলতে এই গ্রামগুলোতে মানুষের সংখ্যা খুবই কম। চারিপাশে শুধু জোনাকি পোকার আওয়াজ আর সেইসঙ্গে শেয়ালের হুংকার। এ যেন এক আলাদা অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম।
এই গ্রামের পথ বেয়ে চলতে চলতে সামনে দেখলাম কিছু মানুষ নদীতে স্নান করছে আবার কিছু মানুষ মৎস্য স্বীকার করছে। এই নদীর জল একেবারে শুকানো ছিল কিন্তু অন্য পাশে কিন্তু জল ছিল। এটির কারণ হলো নদীর মাঝ দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। যার জন্য নদীর অন্যপাশে জল এবং অন্য পাশে শুকিয়ে কাঠ। বাঁধের একটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে সেখানে মানুষ মৎস্য শিকার করছে এবং স্নান করছে। যারা মৎস্য স্বীকার করছে তাদের প্রত্যেকের হাতে জাল ছিল তারা জাল ছুঁড়ে ছুঁড়ে মৎস্য স্বীকার করছিল। এই সুন্দর দৃশ্যটি উপভোগ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই গ্রামে আসতে হবে। গ্রামে না আসলে আপনি এই সুন্দর দৃশ্য কখনো উপলব্ধি করতে পারবেন না। এখানে দাঁড়িয়ে এই পরিবেশের সঙ্গে নিজের কিছু ছবি তুললাম এবং এই সৌন্দর্যের কিছু ছবি তুললাম যা আমি নিচে উপস্থাপন করছি।
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:০৪.০৯.২০২৫
সময়: ০৩.৪৫মিনিট
স্থান: ঝাড়খন্ড
Wow, @saikat890, your travelogue of the Tarapith to Muluti, Jharkhand journey is absolutely captivating! The way you've woven your experiences – from the anticipation of visiting the 75 Shiva temples to the unexpected detour to the Shakti Peeth (despite it being closed) – really pulls the reader in.
I especially appreciate how you've described the rural landscape and the village life, highlighting the challenges of the unpaved roads and the simple beauty of people fishing in the river. Your photos truly bring the journey to life! The contrast between the fear in the dark forest and the wonder of witnessing the fireflies and jackals is palpable. Fantastic work in capturing the essence of rural Bengal and Jharkhand! I'm eagerly waiting for the next installment. What was the most memorable part of your trip?
তারাপীঠ ভ্রমণ করেছেন জেনে ভালো লেগেছে। জায়গাটি খুবই সুন্দর। ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।