ইকো পার্কে ঘোরাঘুরির কিছু সুন্দর মুহূর্তের পঞ্চম পর্ব।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে ইকো পার্ক ভ্রমণের পঞ্চম পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোষ্ট লেখাটি শুরু করছি।
আমরা এরপর চলে গেলাম তাজমহল দেখার উদ্দেশ্যে।তাজমহলের এই জায়গাটিতে লোকের ভিড় লেগেই থাকে। আমার পার্কের সব থেকে সুন্দর জায়গাটি এটাই মনে হয়। আমার এখনো পর্যন্ত ভাগ্য হয়নি সে বিখ্যাত তাজমহল দেখার। কিন্তু আমার আফসোসও হয় না কারণ সত্যিকারের তাজমহল যেমনটি দেখতে হুবহু ঠিক তেমনি কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে এই তাজমহল। তাজমহলের সামনের দিকটাতেক ঝর্ণা রয়েছে এই ঝর্ণার জন্য তাজমহলের সৌন্দর্যটা আরো বৃদ্ধি করেছে। তাজমহল টি বিভিন্ন কালার লাইটিং দিয়ে চারিপাশ সাজানো ছিল যার কারণে তাজমহল দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল।আমরা ভিতরে যে তাজমহলের চারিপাশটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম।
তাজমহল থেকে বেরিয়ে আমরা এবার চলে গেলাম চীনের প্রাচীন সৌন্দর্যের মধ্যে। চীনের বাড়ি ঘর আমাদের দেশের বাড়ি ঘর থেকে একটু আলাদা হয়ে থাকে। চীনের বেশিরভাগ বাড়ি ঘর পাহাড়ের উপরে তৈরি করা হয়। মানুষ এই পাহাড় কেটে কেটে এত সুন্দর করে রাস্তা তৈরি করে সেখানে তারা ঘর তৈরি করে বসবাস করে। উনারা পাহাড় কেটে কেটে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদনও করে থাকে। দূর থেকে তাদের এই শিল্প গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। আর এই পার্কটিতে চীনের কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।আমরা এই সৌন্দর্যটা পায়ে হেঁটে হেঁটে উপভোগ করলাম।
এখান থেকে বেরিয়ে সামনে দেখতে পেলাম বিশাল জায়গা জুড়ে কিছু পাথরের মূর্তি খোদাই করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। দেরি না করে চলে গেলাম সেই জায়গাটিতে। তার আগে সামনে পেয়ে গেলাম ঝাল মুড়ির দোকান। ঝাল মুড়ি সামনেই রেখে না খেয়ে কিভাবে আসি। তাইতো দুজনের জন্য ১০-১০ কুড়ি টাকার ঝাল মুড়ি দিয়ে খেতে খেতে সেই পাথরের মুক্তির কাছে গেলাম। যেতেই পাথরের মূর্তি গুলো দেখে আমি একটু অবাক হয়ে গেলাম কারণ এগুলো দেখে আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। মানুষের আকৃতি ছিল কিন্তু দেখতে একটু অদ্ভুত লাগছিলো। আপনারা দেখলে বুঝতে পারবেন আমি কারো এই কথাটি বললাম। আমি নিচে এর কিছু ছবি পোস্ট করছি।
ক্যামেরা পরিচিতি: OPPO
ক্যামেরা মডেল: OPPO A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:২২.০৩.২০২৫
সময়:০৭.২৫মিনিট
স্থান: কলকাতা।