তারাপীঠ ভ্রমণ ও ফটোগ্রাফি পর্ব ৪
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি তারাপীঠ ভ্রমণের চতুর্থ পর্বটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি, চতুর্থ ভ্রমণ পর্বটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
আকাশ আবার কালো মেঘে ছেয়ে গেল ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টি পড়তে ও শুরু করলো। বৃষ্টির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য আবারো রেইনকোট পরিধান করলাম। এরপর বৃষ্টির মধ্যে আমরা রাইটিং শুরু করলাম। বৃষ্টির ভিতর রাইটিং করতে একটু অসুবিধা হচ্ছিল কিন্তু বৃষ্টির ভিতর রাইটিং করতে কিন্তু আলাদা একটি আনন্দ হয়। ঝাড়খন্ডে মেইন সড়কে রাইটিং করতে এতটা মজা লাগছিল সেটা বলার বাইরে। কারণ রাস্তার একপাশে ঘন জঙ্গল এবং রাস্তার অন্য পাশে সবুজ ধানের ক্ষেত। এর মাঝে চলতে সত্যি আলাদা অনুভূতি কাজ করে। বৃষ্টির মধ্যে আমরা পৌঁছে গেলাম মুলুটি গ্রামে। এই গ্রামটি মেইন সড়কের নিচ দিয়ে যেতে হয়। এই মুলুটি গ্রামে দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা শিব মন্দির দেখতে আসেন। কিন্তু আমরা যখন এই গ্রামটির ভিতরে প্রবেশ করি তখন কোন মানুষের ভিড় কিন্তু দেখতে পেলাম না। এর একমাত্র কারণ হতে পারে বৃষ্টি।
যাইহোক, এই গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করতেই প্রথমে একটি শিব মন্দির দেখতে পেলাম। তার একটু ভিতরে যেতেই অসংখ্য শিব মন্দির দেখতে পেলাম। যেহেতু আমরা বাইক নিয়ে এসেছিলাম তাই নির্দিষ্ট স্থানে বাইকটি পার্কিং করলাম। বাইক থেকে নামতেই আমি একটি জিনিস খেয়াল করলাম আমার জুতার অবস্থা খুবই খারাপ। এতটা খারাপ অবস্থা যে আমি সামনের দিকে চলতে পারব না এর একমাত্র কারণ হলো বৃষ্টির জল আর কাঁদা। জল আর কাঁদা ভিতর আমার জুতা যুদ্ধ করতে করতে পরাজিত শিকার করেছে 😄😄। যাইহোক, পরে ভাবলাম এইভাবে ঘুরতে হবে পরবর্তীতে কোন একটা ব্যবস্থা করব। আমি প্রত্যেকটি মন্দির খুব নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলাম। এই মন্দির গুলো তৈরি করা হয়েছে চুন আর সুরকি দিয়ে। আর প্রত্যেকটি মন্দিরের বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি খোদাই করা রয়েছে। এখানে শিব মন্দিরের পাশাপাশি দুর্গা মন্দির কালী মন্দির রয়েছে।এই মন্দির গুলোতে আপনি কোন প্রতিমা দেখতে পাবেন না শুধুমাত্র মন্দিরের ভিতরে একটি ঘট দেখতে পাবেন।
আমি এখানে আর একটা জিনিস খেয়াল করলাম।এই মন্দির গুলোর আশেপাশে কিন্তু মানুষের বসত বাড়ি রয়েছে। আর এই বসতবাড়ি কিন্তু মাটির তৈরি। এই মন্দির গুলোর আশেপাশে ঘুরতে ঘুরতে একজন বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হলো। উনার কাছেই এই মন্দিরের কিছু তথ্য পেলাম। উনি আমাদের বলল এই মন্দির গুলো তৈরি হয়েছে মহাভারতের সময়। তার মানে বুঝতেই পারছেন কতটা আগে এই মন্দির গুলো তৈরি হয়েছে। শত শত বছর আগে তৈরি হয়েছে কিন্তু এখনো মন্দির গুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এটি কিন্তু সত্যিই অবাক করার একটি বিষয়। সব মন্দির গুলো যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তা কিন্তু নয় কিছু কিছু মন্দির ধ্বংস হয়েছে সেটি পুনরায় আবার নির্মাণ করা হয়েছে।আমি নিচে মন্দিরের কিছু ছবি উপস্থাপন করছি আশা করি,আপনাদের দেখে ভালো লাগবে।
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:০৪.০৯.২০২৫
সময়: ০৪.৫৫মিনিট
স্থান:মুলুটি গ্রাম,ঝাড়খন্ড।