'জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মেলায় আনন্দঘন মুহূর্ত'
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মেলায় আনন্দঘন মুহূর্ত উপস্থাপন করছি।আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
একটা বছর পর খুব জাঁকজমক করে জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রার অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানটি প্রায় সাত দিন বেবি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। রথযাত্রার এই অনুষ্ঠানটি হিন্দুদের একটি উৎসব। মন্দির থেকে জগন্নাথ দেব ,সুভদ্রা, বলরামের মূর্তি বের করে রথে বসানো হয়। আর এই রথে লম্বা একটি রশি বাধা হয়, ভক্তরা এই রশি টেনে থাকে। ভক্তরা এই রশি টানার মাধ্যমে তাদের ভক্তি ঈশ্বরের পায় সমর্পণ করে। জগন্নাথ দেবের এই রথযাত্রার অনুষ্ঠান বড় করে আয়োজন করা হয় ওড়িশা পুরী মন্দিরে। ভারতবর্ষের আরো অনেক জায়গায় এই রথ যাত্রার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শুধু ভারতবর্ষে নয় বিভিন্ন দেশেও খুব জাঁকজমক ভাবে জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এই দিনটাতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করে একটিবার জগন্নাথ দেবের মুখ দর্শন করার জন্য। এটি হিন্দু ধর্মের একটি অন্যতম একটি অনুষ্ঠান।
যাই হোক,এই দিনটাতে আমরা বাড়িতেই জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। যারা মন্দিরে যেতে পারে না তারা কিন্তু বাড়িতে এই রথযাত্রার অনুষ্ঠান করে থাকে। সেদিন অলিতে গলিতে দেখা যায় ছোট ছোট বাচ্চারা তারা রথ নিয়ে বের হয়েছে। এই রথযাত্রার অনুষ্ঠানের এই আনন্দটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমাদের বাড়ির একটু দূরেই এই রথ যাত্রার উপলক্ষে অনেক বড় মেলা বসে থাকে। সকালে রথ যাত্রার অনুষ্ঠান শেষ করে সন্ধ্যা হতে বেরিয়ে পড়ি মেলায় ঘুরতে। যেখানে এই অনুষ্ঠানটা হচ্ছে বাড়ি থেকে যেতে প্রায় তিন মিনিট সময় লাগে কিন্তু সেদিন আমাদের সময় লেগেছিল প্রায় আধা ঘন্টা কারণ হলো মানুষের ভিড়। আর একটা কথা সেদিন হয়েছিল বৃষ্টি এতটা পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছিল মেলার মাঠে কাদা জমে গেছিল। অনেক কষ্ট করে মেলার ভিতর প্রবেশ করলাম প্রথমে আমরা জগন্নাথ দেবের মন্দিরটা দর্শন করলাম এরপর আমরা মেলার ভিতরে প্রবেশ করলাম।
এই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান কিন্তু রয়েছে আর সবথেকে বেশি রয়েছে মিষ্টির দোকান। কারনটা হল জগন্নাথ দেব মিষ্টি খেতে খুবই পছন্দ করে তাই এই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টির দোকান উঠে থাকে। আরো রয়েছে ছোটদের খেলনার দোকান, ঘর সাজানোর জন্য আসবাবপত্র, রয়েছে ফাস্টফুড এর দোকান, রয়েছে নাগরদোলা, নৌকা বাইচ, ইত্যাদি। মেলায় যেহেতু ঘুরতে এসেছি মেলার মাঠে খাবার না খেলে হয় তাই নিজেদের পছন্দ মতন কিছু খাবার খেলাম এরপর বাড়ির সবার জন্য খাবার নিয়ে নিলাম। একটা কথা বলব প্রথম দিন মেলায় যে খাবারগুলো পাওয়া যায় সেটা থাকে ফ্রেশ আর এরপর দিন থেকে যে খাবারগুলো পাওয়া যায় সে খাবারটা বাসি হয়ে যায়। বাইরের খাবার খাওয়াটা ঠিক নয় কিন্তু এই ক্ষেত্রে প্রথম দিন যে যদি আপনি খাবারগুলো খান তাহলে একটু ভালো পেতে পারেন কিন্তু মেলার তৃতীয় দিন চতুর্থ দিন যে খাবার খেলে সে খাবারগুলো আপনি বাসি খাবার পাবেন।
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরার দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:২৬.০৬.২০২৫
সময়:০৮.০২মিনিট
স্থান: বারাসাত, কলকাতা।
মেলার ভেতর ঘুরতে খুবই ভালো লাগছিল কারণ এখানে সব শ্রেণীর মানুষ কিন্তু এসেছে সবাই আনন্দ করছে। একটি বিষয়ে আমাকে খুব অবাক করল কারণ বেশিরভাগ মানুষ মেলায় মাঠে ঘোড়ার থেকে মন্দির আঙ্গিনাতে বেশি ঘোরাঘুরি করছে এর কারণ হলো একটিবার এই দিনটাতে জগন্নাথ দেবের মুখটা যেন দর্শন করতে পারে। এই কাজটি আমাদের সবার করা উচিত কারণ যার উপলক্ষে এই আয়োজন তাকেই সব থেকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
রথযাত্রা মেলার এমন আনন্দঘন মুহূর্ত সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে গেল।ঐতিহ্য আর ভক্তির অপূর্ব মিলন—রথযাত্রার এমন চিত্র বারবার দেখতে ইচ্ছে করে!শুভ রথযাত্রা! এমন মুহূর্তগুলোই আমাদের ঐতিহ্যকে জীবন্ত রাখে।জগন্নাথ দেবের আশীর্বাদে আমাদের জীবনেও আনন্দের রথ চলুক—এমন সুন্দর অনুভূতির জন্য ধন্যবাদ!